আজকাল ওয়েব ডেস্ক: গত শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় পিজি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর অর্ধনগ্ন দেহ। ধর্ষণ করে খুন করা করা হয়েছে ডাক্তারির পড়ুয়াকে, গত চার দিন ধরে সেই ঘটনায় একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। আর এই নিয়েই বিনোদন থেকে রাজনীতি, সরব হয়েছে সব মহল। এক কথায়, উত্তাল গোটা রাজ্য। এরই মাঝে অভিনেত্রী গুলশানারা খাতুনের সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। 
ইতিমধ্যে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে টলিপাড়ার অভিনেত্রীরা পথে নামার বার্তা দিয়েছেন। 'মেয়েরা রাত দখল করো' অভিযানে শামিল হবেন সমাজের সব স্তরের মহিলারা। এমনই আবহে কী এমন লিখেছেন গুলশানারা? মঙ্গলবার ফেসবুকে অভিনেত্রী লেখেন, "হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি 'পুরুষেরই ধর্ষক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি চিৎকার করে বলছি। যদি আপত্তি থাকে আমাকে বন্ধুতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেবেন।” এরপর তিনি আরও লেখেন, "আমি ইতিমধ্যে ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছি আর 'ভালো বন্ধু'দের থেকে ফোনও পাচ্ছি। ধর্ষক মানেই পুরুষ। 'পুরুষ' হলে ধর্ষক নন।"
এই প্রসঙ্গে আজকাল ডিজিটালকে গুলশানারা বলেন, “আমি আমার বক্তব্যে অনড়। যাদের গায়ে এত লাগছে..কোথায় একটা ট্রিগার হচ্ছে।” একইসঙ্গে টলিউডের পাশে না দাঁড়ানোর বিষয়েও অভিনেত্রীর মত, "টলিউড তো কখনও কারোর পাশে দাঁড়ায় না। যখন এতজন প্রার্থী চাকরি নিয়ে আন্দোলন করছিলেন, তখন কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। কিন্তু পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে সমস্যা হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন সকলে।"
বাংলা টেলিভিশন তথা নাট্য জগতের পরিচিত মুখ গুলশানারা। সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অভিনীত 'বিজয়া' ওয়েব সিরিজেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু মঙ্গলবার তাঁর ফেসবুক পোস্টে সায় দেননি টলিপাড়ার একাংশ। অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র যেমন লেখেন, "এই মন্তব্যে তোমার তীব্র আক্রোশ প্রকাশ পাচ্ছে, তা হয়তো কোনও অতীতের অভিজ্ঞতার জন্য। কিন্তু তা বলে তুমি এটা বলতে পারো না। তোমার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।" ডিজাইনার অভিষেক রায় গুলশানার মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রী তনুশ্রী গোস্বামী লিখেছেন, “পোস্টটা দেখে নিজের বাবার কথা মনে হল। তোর বাবার কথাও মনে হল। ওঁকে নিয়ে তোর লেখাও পড়েছিলাম। কোথাও তো এ রকম মনে হয়নি। যা-ই হোক, তোর অভিনয়ের ভক্ত আমি। সেটুকু শ্রদ্ধা রেখে চলব। তোর বক্তব্য পছন্দ না হলে আনফ্রেন্ড করতে বলেছিস, তাই করলাম। ভাল থাকিস।’’ গুলশানারাকে ফেসবুকের বন্ধু তালিকা থেকে সরিয়েছেন আরও অনেক পরিচিত নেটাগরিকরা।
এদিকে, বুধবার মাঝরাতে কলকাতায় যাদবপুর, অ্যাকাডেমি ও কলেজ স্ট্রিট-এই বহু জায়গায় জমায়েত হবে। এছাড়াও, রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় এবং বাংলার বাইরেও মধ্যরাতের জমায়েতের আহ্বান ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মহিলাদের জমায়েতে সঙ্গ দেবেন পুরুষেরাও। গুলশনারা নিজেও এই প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটবেন বলেই খবর। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্ট ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
ইতিমধ্যে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে টলিপাড়ার অভিনেত্রীরা পথে নামার বার্তা দিয়েছেন। 'মেয়েরা রাত দখল করো' অভিযানে শামিল হবেন সমাজের সব স্তরের মহিলারা। এমনই আবহে কী এমন লিখেছেন গুলশানারা? মঙ্গলবার ফেসবুকে অভিনেত্রী লেখেন, "হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি 'পুরুষেরই ধর্ষক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি চিৎকার করে বলছি। যদি আপত্তি থাকে আমাকে বন্ধুতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেবেন।” এরপর তিনি আরও লেখেন, "আমি ইতিমধ্যে ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছি আর 'ভালো বন্ধু'দের থেকে ফোনও পাচ্ছি। ধর্ষক মানেই পুরুষ। 'পুরুষ' হলে ধর্ষক নন।"
এই প্রসঙ্গে আজকাল ডিজিটালকে গুলশানারা বলেন, “আমি আমার বক্তব্যে অনড়। যাদের গায়ে এত লাগছে..কোথায় একটা ট্রিগার হচ্ছে।” একইসঙ্গে টলিউডের পাশে না দাঁড়ানোর বিষয়েও অভিনেত্রীর মত, "টলিউড তো কখনও কারোর পাশে দাঁড়ায় না। যখন এতজন প্রার্থী চাকরি নিয়ে আন্দোলন করছিলেন, তখন কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। কিন্তু পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে সমস্যা হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন সকলে।"
বাংলা টেলিভিশন তথা নাট্য জগতের পরিচিত মুখ গুলশানারা। সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অভিনীত 'বিজয়া' ওয়েব সিরিজেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু মঙ্গলবার তাঁর ফেসবুক পোস্টে সায় দেননি টলিপাড়ার একাংশ। অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র যেমন লেখেন, "এই মন্তব্যে তোমার তীব্র আক্রোশ প্রকাশ পাচ্ছে, তা হয়তো কোনও অতীতের অভিজ্ঞতার জন্য। কিন্তু তা বলে তুমি এটা বলতে পারো না। তোমার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।" ডিজাইনার অভিষেক রায় গুলশানার মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রী তনুশ্রী গোস্বামী লিখেছেন, “পোস্টটা দেখে নিজের বাবার কথা মনে হল। তোর বাবার কথাও মনে হল। ওঁকে নিয়ে তোর লেখাও পড়েছিলাম। কোথাও তো এ রকম মনে হয়নি। যা-ই হোক, তোর অভিনয়ের ভক্ত আমি। সেটুকু শ্রদ্ধা রেখে চলব। তোর বক্তব্য পছন্দ না হলে আনফ্রেন্ড করতে বলেছিস, তাই করলাম। ভাল থাকিস।’’ গুলশানারাকে ফেসবুকের বন্ধু তালিকা থেকে সরিয়েছেন আরও অনেক পরিচিত নেটাগরিকরা।
এদিকে, বুধবার মাঝরাতে কলকাতায় যাদবপুর, অ্যাকাডেমি ও কলেজ স্ট্রিট-এই বহু জায়গায় জমায়েত হবে। এছাড়াও, রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় এবং বাংলার বাইরেও মধ্যরাতের জমায়েতের আহ্বান ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মহিলাদের জমায়েতে সঙ্গ দেবেন পুরুষেরাও। গুলশনারা নিজেও এই প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটবেন বলেই খবর। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্ট ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
