সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ২০০১ সালের এই ছবি নজর কেড়েছিল দর্শকের। বক্স অফিসে সেই সময় দুরন্ত ফলাফল না করলেও পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে 'রহেনা হ্যায় তেরে দিল মে'। ছবির সুর থেকে সব গান দর্শক-শ্রোতার মনে আজও টাটকা। আর মাধবন এবং দিয়া মির্জা অভিনীত এই ছবি ছিল আদতে তামিল ফিল্ম ‘মিন্নালে’র রিমেক। এই ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন দিয়া ও মাধবন। ছবিতে একটি দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল মাধবনের চরিত্র ‘ম্যাডি’ গোপনে অনুসরণ করত এবং একের পর এক মিথ্যা বলত স্রেফ দিয়া অভিনীত ‘রিনা’র কাছের মানুষ হয়ে ওঠার জন্য।
সম্প্রতি, এই ছবিটিকে কেন্দ্র করে একটি বিতর্ক দানা বেঁধেছে। দর্শক এই ছবিতে মাধবনের অভিনীত চরিত্রটির কোনও স্বভাব নিয়ে কোনওরকম নাক না সিঁটকালেও, জানিয়েছেন মেয়েদের সঙ্গে বাস্তবে পুরুষদের মারফত হওয়া তথাকথিত অসুবিধেজনক, অস্বস্তিকারক বিষয়গুলিকে কলার তুলে পেশ করা হয়েছে এই ছবিতে। ঝড় শুরু না হলেও, বইতে শুরু করেছে নিন্দার হাওয়া। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন খোদ মাধবন।
এক সাক্ষাৎকারে 'ম্যাডি' বলেন, “এইসব বক্তব্যের সঙ্গে একেবারেই আমি সহমত নই। আমি সবসময় ভদ্রতায় বিশ্বাসী। ছোট থেকেই আমাদের সেখান হয় নারীদের সম্মান করতে। তাছাড়া বদমায়েশ, দুষ্টু লোক তো সব জায়গায় থাকে। আরও একটু বলি, এই ছবি যেই সময়ের, সেই সময়ে মুম্বইয়ের মতো শহরে কোনও অচেনা মেয়েকে ভাল লাগলে, তাঁর কাছে না হয় সরাসরি গিয়ে নম্রতা ও ভদ্রতার সঙ্গে দু'তো কথা বলা যেত। কিন্তু বাকি কোনও জায়গায় এটা করা সম্ভবপর ছিল সেই সময়ে? তাই বলছি, সবকিছুকে পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির নিক্তিতে মেপে দেখবেন না।”
“ আরও একটু বলি। যারা এইসব বড় বড় কথা এখন বলছেন, তাঁরা কি জানেন যে সেই সময়ে কোনও অচেনা-অজানা সুন্দরীকে ভাল লাগলে, তাঁর বিষয়ে একটু জানতে চাইলে নিজেকেই সেই মেয়েটির খবরাখবর জোগাড় করতে হতো? সেক্ষেত্রে তাঁকে অনুসরণ করা ছাড়া, তাঁর বাড়ি চিনে নেওয়া ছাড়া সেই ছেলেটির কাছে অন্য কোনও উপায় থাকত না। তাহলে ভাললাগার মানুষটির বিষয় এই উপায়ে জানা ছাড়া, সেইসময়ে দাঁড়িয়ে ছেলেরা আর কি-ই বা করতে পারত?”
