শুক্রবার, চতুর্থীতে ছিল উইন্ডোজ প্রোডাকশনের পুজোর ছবি 'রক্তবীজ ২'-এর প্রিমিয়ার। এই ছবিতে নায়কের চরিত্রে আবির চট্টোপাধ্যায় ও খলনায়ক অঙ্কুশ হাজরা। পর্দায় যতই টক্কর থাকুক না কেন, বাস্তবে দু'জনের অটুট বন্ধুত্ব। তাই প্রিমিয়ারে একে অপরকে দেখে মিষ্টি আহ্বান জানালেন। 

 


এদিন অঙ্কুশের আগেই হাজির হয়েছিলেন আবির। বড়পর্দায় ছবির কিছু অংশ দেখে বেরোতেই দেখা হয় অঙ্কুশের সঙ্গে। তাঁকে দেখেই জড়িয়ে ধরেন, গালে চুমু এঁকে দেন। এদিকে অঙ্কুশও কম যান না, তিনিও আবিরে জড়িয়ে যেন আহ্লাদে আটখানা। আর ঠিক এই সময় প্রিমিয়ারে ঢোকেন মিমি চক্রবর্তী। 


পর্দায় তিনি 'সংযুক্তা'। ছবিতে আবিরের সঙ্গে জুটিতে দেখা যাচ্ছে নায়িকাকে। এদিকে, নায়ক ও খলনায়কের 'রোম্যান্স' চোখের সামনে দেখে হেসে কুটোপাটি মিমি। 

 


আবির ও অঙ্কুশের বন্ধুত্ব প্রায় ১২ বছরের। বাস্তবে এত ভাল সম্পর্ক থাকলেও পর্দায় একে অপরের শত্রু! কখনও কি দুই হরিহর আত্মার চরিত্রে কাজ করবেন তাঁরা? আজকাল ডট ইন-এর এক সাক্ষাৎকারে একগাল হেসে অঙ্কুশ বলেছিলেন, “এই বিষয়টা আমি লক্ষ্য করেই নন্দিতাদি আর শিবুদাকে বলেছিলাম আমাদের নিয়ে যেন ভবিষ্যতে ওরা জয়-বীরু ধরনের চরিত্র লেখে। আবিরদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক এত সু্ন্দর! কিন্তু দেখুন, পর্দায় সব সময় একে অপরকে তাড়া করে বেড়াচ্ছি। ওকে আমি এতটাই ভালবাসি যে ওর সঙ্গে এরকম চরিত্র করাটা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।”

 


‘কানামাছি’তে অঙ্কুশের সেই বেদম প্রহারের প্রতিশোধ কি ‘রক্তবীজ ২’-এ নিতে পারলেন আবির? শিষ্টের পালনে কি গায়ের জোরেই দুষ্টের দমন হল? অঙ্কুশ যদিও  উত্তর দিলেন না। খানিক আভাস দিয়ে বললেন, “এই ছবির সবটা জুড়েই তো দারুণ অ্যাকশন। তবে এখানে গায়ের জোরের থেকেও বেশি মস্তিকের জোর থাকবে। আরও এমন কিছু থাকবে, যা দর্শককে দম নিতে দেবে না। বাকি উত্তর ছবি দেখলেই পাবেন।”

 

আরও পড়ুন: নররক্তলোভী রক্তচোষাদের সঙ্গে লড়াই থেকে মহিলা ভ্যাম্পায়ারের সঙ্গে প্রেম! 'থামা'র প্রথম ঝলকেই জমজমাট আয়ুষ্মান

 


দুই নায়কের সখ্য দীর্ঘদিনের। ইন্ডাস্ট্রির অগ্রজ-অনুজের বিধিবৎ পরিধি তাঁরা কবেই পেরিয়েছেন! ছবির সেটে হাসিঠাট্টার আমেজ ধরে রাখলেও ‘অ্যাকশন’ শুনেই বন্ধুত্ব ভুলতে হত তাঁদের। ‘রক্তবীজ ২’-এর মুনির আলমের কথায়, “আবিরদা দারুণ অভিনেতা! আমারও অভিনয়ের একটু উন্নতি হয়েছে। তাই আমরা এরকম মারকাটারি শত্রুতা পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি। আমি শুনেছি, ‘ছাওয়া’ করার সময় ভিকি কৌশল এবং অক্ষয় খন্না একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন না। কারণ কথা বললে নাকি একে অপরের প্রতি সেই ঘৃণা আনতে সমস্যা হত। আমার আর আবিরদার সেই বালাই ছিল না। শুধু ‘কাট’টা বলার অপেক্ষা। আমি ওর সঙ্গে মজা করতাম, জড়িয়ে ধরতাম, চুমু খেতাম, কোলে উঠে পড়তাম। কোনও কিছুই বাদ রাখিনি।”

 


অপেক্ষায় আছেন অঙ্কুশ। মারপিট নয়, আবিরের একটি বার গলা জড়াজড়ি করে বন্ধু্ত্ব রচনার সাধ সেলুলয়েডে। নায়কের স্বীকারোক্তি, “আমি তো মুখিয়ে রয়েছি। দু’জনের জন্য মানানসই চিত্রনাট্য পেলেই করব। আমার বিশ্বাস, কেউ যদি আমাদের নিয়ে বন্ধুত্বের ছবি করেন, দর্শক তা লুফে নেবেন।”