২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রেক্ষাগৃহে অভিনব কাশ্যপের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘দবং’। ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন সলমন। খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল সোনুকে। সলমন খানের বিপরীতে এই ছবির মাধ্যমেই অভিনয়ের সফর শুরু করেছিলেন সোনাক্ষী সিনহা। এবার সলমন খানকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন সেই ছবির পরিচালক অভিনব কাশ্যপ! বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন সলমন খানের পরিবারেরও বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক অভিনব কাশ্যপ জানালেন, ছবির আসল কৃতিত্ব তাঁকে না দিয়ে খানের পরিবার নিজেরা দখল করে নেন, এমনকী দবং এর পরবর্তী সব ছবির প্রকল্প থেকে সরিয়েও দেন!

অভিনব কাশ্যপ আরও বলেন, “ ‘দবং’-এর সঙ্গে যুক্ত আমাদের শিল্পীর কেরিয়ারের জন্য এক মাইলফলক হয়ে গিয়েছিল এই ছবি। কিন্তু ওঁরা মানে সলমন খানের পরিবার এই ছবির সমগ্র কৃতিত্ব নিজেদের করে নিতে চেয়েছিল। ছবির প্রচারের সময় থেকেই আমাকে স্রেফ সরিয়ে দেওয়া হয়। আমি ছবিটা দাঁড় করানোর পরই তাঁরা বুঝতে পারেন হাতে ব্লকবাস্টার চলে এসেছে। তখনই সকলে কৃতিত্ব নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে, আর আমাকে বাদ দেওয়া হয়। ওদের মূল লক্ষ্য ছিল, আরবাজকে দবং-এর মাধ্যমে ফের প্রচারের সমস্ত আলোয় নিয়ে আসা। ”
২০১২ সালে মুক্তি পায় ‘দবং ২’, তবে সে বার পরিচালক ছিলেন আরবাজ খান। কাশ্যপ জানালেন, ছবির সিকুয়েল তিনি আনন্দের সঙ্গেই ছেড়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর দাবি—“ওরা চেয়েছিল একদম দাস-পরিচালক। যাকে দিয়ে যা খুশি করানো যাবে। আমার সৃজনশীলতা ব্যবহার করবে, কৃতিত্ব কেড়ে নেবে, আর টাকা বানাবে। প্রথম ছবিতেই আমি সেটা টের পেয়েছিলাম। তাই সিক্যুয়েলে একই ঘটনা হবে ভেবেই সরে যাই।”
রণবীর কাপুরের সঙ্গে ‘বেশরম’-এর অভিজ্ঞতাও ভাগ করেন অভিনব। দবং-এর মতো সাফল্য পায়নি অভিনবের পরিচালিত ২০১৩ সালে রণবীর কাপুর অভিনীত ‘বেশরম’ ছবিটি। সে ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এ নিয়ে অভিনবের খেদ— “বেশরম চলেনি, তাই গোটা দোষ চাপানো হল আমার ঘাড়ে। আর দবং হিট হয়েছিল বলে সব কৃতিত্ব তারা নিয়ে নিল। দুই ছবিতেই চড় খেলাম আমি। রণবীরও পরে আফশোস করেছে যে, ওর ও ছবিতে থাকা উচিত হয়নি। আমি এখন এসব ভেবে হাসাহাসি করি।”
অভিনব কাশ্যপের এই ক্ষোভের পর বলিউডের অন্দরমহল ফের সরগরম। সলমন খান বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।
