আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবার থেকে ১০ বছরের বেশি বয়সী শিশুরাও স্বাধীনভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। এই অ্যাকাউন্ট অভিভাবকদের ছাড়াই পরিচালনা করা যাবে। এছাড়াও করাতে পারবে টার্ম ডিপোজিটও। সোমবারই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) তরফে এই বড় ,সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছে, এই নতুন নিয়মটি সব ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক এবং কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। আগামী ১ জুলাই (২০২৫)-এর মধ্যে সব ব্যাঙ্ককেই এই নতুন নির্দেশ কার্যকর করে নিজেদের অভ্যন্তরীণ নীতি প্রণয়ন করতে হবে।

আরবিআই-এর তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে কোনও বয়সের অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুই তার আইনি অভিভাবকের মাধ্যমে সেভিংস বা টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। তবে ১০ বছর বা তার বেশি বয়স হলে, ছোটরা চাইলে এখন নিজেরাই এসব অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবে।

তবে, যখন কোনও শিশুর ১৮ বছর বয়স হবে, তখন তাকে আবার অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য নতুন নির্দেশনা ও সাক্ষর দিতে হবে। যদি সেই অ্যাকাউন্টটি আগে অভিভাবক পরিচালনা করে থাকেন, তবে ব্যাঙ্ককে সেই সময়ে ব্যালেন্সের পরিমান নিশ্চিত করতে হবে এবং আগে থেকেই গ্রাহককে জানিয়ে দিতে হবে, যেন কোনও দেরি না হয়।

এই নিয়মের পাশাপাশি, ব্যাঙ্কগুলিকে নিজেদের রিস্ক-নীতির উপর ভিত্তি করে এই অ্যাকাউন্টগুলির শর্ত নির্ধারণ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে থাকবে অ্যাকাউন্টে জমা টাকার সীমা নির্ধারণ, অন্যান্য শর্তাবলি স্থির করা এবং সেগুলো স্পষ্টভাবে কিশোর গ্রাহকদের জানানো।

যখন কোনও শিশু ১৮ বছরে পৌঁছে যাবে, তখন তাকে আবার অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য নতুন নির্দেশনা ও সিগনেচার দিতে হবে বলে জানা গেছে। যদি সেই অ্যাকাউন্ট আগে অভিভাবক পরিচালনা করে থাকেন, তবে ব্যাঙ্ককে সেই সময়ে ব্যালান্স নিশ্চিত করতে হবে এবং আগে থেকেই গ্রাহককে জানিয়ে দিতে হবে, যেন কোনও দেরি না হয়।

১০ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, এটিএম কার্ড, চেকবুক ইত্যাদির সুবিধাও দিতে পারবে ব্যাঙ্ক। তবে এসব দেওয়ার আগে  তাদের ঝুঁকি-সংক্রান্ত নিয়মাবলি পর্যালোচনা করে ব্যাঙ্ককেই নিশ্চিত হতে হবে, যে এইসব শিশুদের উপযুক্ত কিনা।

শিশুর নামে থাকা অ্যাকাউন্ট, সেটা অভিভাবক পরিচালিত হোক বা নিজে, কোনওভাবেই ওভারড্রাফট সুবিধা পাবে না বলে জানিয়েছে আরবিআই। অর্থাৎ অ্যাকাউন্টে সবসময়ই পজিটিভ ব্যালান্স রাখতে হবে।

অ্যাকাউন্ট খোলার সময় এবং তারপর ব্যাঙ্ককে কেওয়াইসি নিয়ম মেনে চলতে হবে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরবিআই যে মাস্টার ডিরেকশন জারি করেছিল, তার আওতাতেই এই নিয়ম কার্যকর থাকবে।