আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৯ লক্ষ টাকার এককালীন মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগের ক্ষমতা। ৩.২৩ কোটির বেশি কর্পাস গড়তে কত সময় লাগবে? ধরুন, আপনি মিউচুয়াল ফান্ডে এককালীন ১৯,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেছেন এবং টার্গেট রেখেছেন প্রায় ৩.২৩ কোটি টাকার কর্পাস তৈরির। এবার প্রশ্ন হল এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে? চলুন হিসাব করি।
 
 কেন মিউচুয়াল ফান্ডে এককালীন বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে?
 
 ভবিষ্যতের প্রয়োজন মেটাতে আজকের দিনে বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাসিক বিনিয়োগের বিকল্প রয়েছে। তবে অনেকেই মাসিক কিস্তির বদলে একবারেই বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। তাঁদের জন্য কৌশলগতভাবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা লাভজনক হতে পারে। কারণ, সুপরিকল্পিত বিনিয়োগ আপনাকে জীবনের বড় লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সাহায্য করতে পারে—যেমন বাড়ি কেনা, সন্তানের উচ্চশিক্ষা, বা অবসরের জন্য ফান্ড তৈরি। মিউচুয়াল ফান্ড এমন একটি সম্পদশ্রেণি, যা বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে শেয়ার, ইক্যুইটি ও বন্ডসহ বিভিন্ন সম্পদে অর্থ বিনিয়োগ করে।
আরও পড়ুন: গৌরবের শিখরে মহাকুম্ভের মোনালিসা, এবার তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী
 
 মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগের বড় সুবিধা:
 
 চক্রবৃদ্ধি সুদের সুবিধা 
 
 বৈচিত্র্য 
 
 রুপি কস্ট অ্যাভারেজিং 
 
 তারল্য 
চক্রবৃদ্ধি সুদ মানে হচ্ছে সুদের উপর আবার সুদ পাওয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব ঝড়ের মতো বৃদ্ধি পায় এবং আপনার বিনিয়োগকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ, বিনিয়োগের সময়কাল যত দীর্ঘ হবে, চক্রবৃদ্ধি সুদের প্রভাব তত বেশি হবে।

 
 চলুন হিসাব করি:
 
 ধরা যাক, আপনি মিউচুয়াল ফান্ডে এককালীন ১৯,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করলেন এবং গড় বার্ষিক রিটার্ন ধরা হল ১২%। হিসাব অনুযায়ী ২৫ বছর বিনিয়োগে থাকতে হবে এই টার্গেট পূরণের জন্য। ২৫ বছরে আনুমানিক মূলধনী মুনাফা: ৩,০৪,০০,১২২, মোট প্রাপ্তি: ৩,২৩,০০,১২২ টাকা হবে। তাহলে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ যদি ১৯,০০,০০০ লাখ টাকা হয়ে থাকে তাহলে মূলধনী মুনাফা হবে ৩,০৪,০০,১২২ টাকা।  মোট আনুমানিক রিটার্ন হবে ৩,২৩,০০,১২২ টাকা। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এটি কেবল অনুমিত হিসাব। প্রকৃত রিটার্ন বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে বেশি বা কম হতে পারে।
 
 মিউচুয়াল ফান্ড হল এক ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যম যেখানে অনেক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে একটি পুল তৈরি করা হয় এবং সেই অর্থ বিভিন্ন সিকিউরিটিজ, যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত একটি বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করে।
 
 মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অল্প অল্প করে অর্থ সংগ্রহ করে। সংগৃহীত অর্থ একটি পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা বিভিন্ন সিকিউরিটিজে (যেমন - স্টক, বন্ড, ইত্যাদি) বিনিয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে, বিনিয়োগকারীরা অল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেও বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার সুযোগ পায়, যা তাদের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।মিউচুয়াল ফান্ডগুলি অভিজ্ঞ ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা বাজারের ওঠানামাকে ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেন। মিউচুয়াল ফান্ডগুলি সাধারণত সহজে কেনা-বেচা করা যায়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধাজনক। 

