আজকাল ওয়েবডেস্ক: যাদের অ্যাকাউন্ট অডিট করা হবে না, তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫। এবার আইটিআর দাখিলের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। গত বছর ৩১ জুলাই ছিল রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ। আয়করদাতারা এখন রিটার্ন দাখিল শুরু করেছেন। আয়কর বিভাগের ওয়েবসাইট অনুসারে, ১ জুলাই পর্যন্ত ৭৫,১৮,৪৫০টি রিটার্ন দাখিল করা হয়েছিল। এর মধ্যে বিভাগ ৭১,১১,৮৩৬টি রিটার্নও যাচাই করেছে। আয়কর বিভাগ আয়কর রিটার্ন দাখিলের পরই করদাতাদের অ্যাকাউন্টে রিফান্ড করবে।
আপনি কি জানেন রিটার্ন দাখিলের কত দিন পরে আপনি আইটিআর ফেরত পাবেন? অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন কয়েকদিন আগে বলেছিলেন যে, আয়কর বিভাগে অটোমেশন এবং প্রক্রিয়া উন্নতির কারণে, আয়কর রিফান্ড এখন গড়ে ১০ দিনের মধ্যে জারি করা হচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এটি একটি গড় সময়।
অর্থাৎ, প্রতিটি ক্ষেত্রে রিফান্ড পেতে যে সময় লাগে তা ভিন্ন হতে পারে। এটা সম্ভব যে, একজন ব্যক্তি আয়কর রিটার্ন দাখিল করার মাত্র আট দিনের মধ্যে রিফান্ড পেলেন, অন্য কেউ ১৫ দিন অপেক্ষার পর তা ফেরৎ পান।
আয়কর বিভাগ কেবল আপনার আয়কর রিটার্ন দাখিল করে আপনাকে রিফান্ড দেবে না। এর জন্য, আপনাকে আপনার আইটিআর যাচাই করতে হবে। করদাতা যাচাই করার পরেই আয়কর বিভাগ আইটিআর প্রক্রিয়া শুরু করে। করদাতারা তাদের আইটিআর অনলাইনে যাচাই করতে পারবেন। করদাতার রিটার্ন যাচাই করার পরে, এখন এটি প্রক্রিয়া করতে গড়ে দশ দিন সময় লাগে। আপনি যদি অফলাইনে যাচাই করেন, তবে প্রক্রিয়া করতে আরও বেশি সময় লাগতে পারে এবং আপনি দেরিতেও আপনার রিফান্ড পাবেন।
রিফান্ড বিলম্বের ৫টি প্রধান কারণ-
ই-ভেরিফিকেশন না করা: শুধুমাত্র আইটিআর দাখিল করা যথেষ্ট নয়। অনলাইনে ই-ভেরিফিকেশন না করলে রিটার্ন প্রক্রিয়া করা হয় না এবং রিফান্ড জারি করা হয় না।
প্যান এবং আধার লিঙ্ক না করা: যদি আপনার প্যান নম্বর আধারের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করা না থাকে তাহলে আয়কর বিভাগ আপনার আইটিআর আটকে রাখতে পারে।
টিডিএসের বিবরণে অসঙ্গতি: যদি আপনার আইটিআরে পূরণ করা টিডিএসের তথ্য ফর্ম 26AS বা বার্ষিক তথ্য বিবরণীর (AIS) সঙ্গে না মেলে, তাহলে বিষয়টি তদন্তের জন্য যেতে পারে।
ভুল ব্যাঙ্কের বিবরণ: যদি আপনি ভুল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বা IFSC কোড দিয়ে থাকেন, তাহলেও রিফান্ড আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে না।
বিভাগীয় ইমেল বা নোটিশের উত্তর না দেওয়া: যদি বিভাগ কোনও তথ্যের জন্য আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং আপনি সাড়া না দেন, তাহলে রিফান্ড আটকে রাখা হতে পারে।
