আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে বিরাট স্বস্তি হতে পারে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েকটি জিনিসের ওপর থেকে জিওএসটি কমাতে চলেছে। সেগুলি দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা জিনিসগুলির মধ্যেই থাকবে বলেই খবর মিলেছে।


যে খবর পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে মনে করা হচ্ছে বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের থেকে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হবে। আবার সমস্ত জিনিসের ওপর থেকে একেবারে ১২ শতাংশ হারে জিএসটি কমিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেও খবর মিলেছে। এই তালিকায় ঘি, সাবান এবং স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার বেশি নজরে রয়েছে বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে বাকি দ্রব্যগুলি থেকেও কমতে পারে জিএসটি।


বর্তমানে প্রতিটি সামগ্রীর ওপর ১২ শতাংশ হারে জিএসটি নেওয়া হয়। সেখানে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ওপরেই এই দাম নেওয়া হয়ে থাকে। তবে মধ্যবিত্তের কথা ভেবে কেন্দ্রীয় সরকার এই জিএসটি কমানোর ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।


যদিও এবিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত হবে আসন্ন ৫৬ তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে। সেদিকেই এখন সকলের নজর রয়েছে। আগামী বছরে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোট রয়েছে। সেদিকে তাকিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এমন একটি পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে অনুমান করছে বিরোধিরা। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর থেকে যদি জিএসটি কমে তাহলে সেখানে অনেকেই আর্থিকভাবে অনেকটা উপকৃত হবেন বলেই মনে করছে দেশের অর্থনীতিবিদরা। 
২০১৭ সালের ১লা জুলাই মধ্যরাতে ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। এই দিনই চালু হয়েছিল বহু প্রতীক্ষিত পণ্য ও পরিষেবা কর বা GST। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একে ‘এক দেশ, এক কর’ নীতি বাস্তবায়নের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেন। জিএসটি চালুর ৮ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লেখেন, ‘‘জিএসটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে রূপান্তর করেছে এবং সহজে ব্যবসা করার পরিবেশকে আরও মজবুত করেছে, বিশেষত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলির জন্য।’’


জিএসটি-এর ধারণা প্রথমবার সামনে আসে ২০০০ সালে, যখন অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকার একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে এই কর সংস্কার নিয়ে আলোচনার জন্য। তবে রাজনৈতিক জটিলতা, রাজ্যগুলির আপত্তি এবং প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জের কারণে বিষয়টি প্রায় দুই দশক স্থগিত ছিল। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই ধারণা আবারও নতুন করে আলোচনায় আসে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক আলোচনার পর ২০১৬ সালে সংসদে ১২২তম সংবিধান সংশোধনী বিল পাস হয়। এই বিলটির মাধ্যমে কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়কেই কর আরোপের ক্ষমতা দেওয়া হয়, যা একটি অভিন্ন কর ব্যবস্থার ভিত্তি তৈরি করে।