রিয়া পাত্র
সম্ভাবনা ছিল, আলোচনা ছিল। কিন্তু করোনাকাল যেন সেই সম্ভাবনাকে অবশ্যম্ভাবী সত্য বলে প্রমাণিত করল। স্বাভাবিক ভাবেই, তারপর থেকে যা হওয়ার হয়ে চলেছে দিনে দিনে। সময় যত এগোচ্ছে, দিনে দিনে নিত্য দিনের জীবনে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ছে ডিজিটাল মিডিয়া। ঝটপট নতুন রেসিপির খোঁজ চান, ঘুরে আসছেন ইউটিউবে। এখুনি দরকার গাড়ি কিংবা বাইক, গন্তব্যে পৌঁছতে ভরসা অ্যা। দু মিনিটের ম্যাগি আনানো যাচ্ছে ১০মিনিটে, ডিজিটাল মিডিয়ার দৌলতে। এই পরিস্থিতিতে পড়াশোনাও বহু অংশে ডিজিটাল মিডিয়া নির্ভর হয়ে পড়ছে।
আর সেকথা মাথায় রেখে, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বই লিখলেন অধ্যাপিকা মিনাল পারেখ। রবিবার বইমেলায় উদ্বোধন হল তাঁর বই 'আলফা জেনারেশন'স বুক ফর কম্প্রিহেন্সিভ ডিজিটাল মিডিয়া'। বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক স্নেহাশিস সুর, সাংবাদিক, সাহিত্যিক জয়ন্ত ঘোষাল, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রপের সিইও ড: শঙ্কু বোস, সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড: ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, সুমন চ্যাটার্জি, সুশীল পোদ্দার, সুধাংশু শেখর দে, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরঞ্জন দাস এবং রাজু বর্মন। বই প্রসঙ্গে লেখিকা নিজে কী বলছেন? কেন, কোন ভাবনা থেকে এই বই লেখা? মিনাল জানাচ্ছেন, 'দিনে দিনে সময় শুধু নয়, বদলে যাচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়াও।
এবার যে পরিস্থিতিতে আমি এই বই লিখলাম,দেখা যাবে পরের বই লেখার সময় আরও অনেক বদল এসেছে ডিজিটাল মিডিয়ায়। আমি পড়ুয়াদের মধ্যে দেখি, টেক্সট বুক বলতে এখন তাদের সামনে খুব বেশি কিছু থাকে না। এই যে এখন আমরা বলে থাকি এসইও, ট্যাগ, এআই, এসব আদতে কী? পড়ুয়ারা জানবেই বা কী করে, আর কেন জানতে হবে? সেসব নিয়েই এই লেখা। এই বই শুধু পড়ার নয়, এই বই শুধু পড়ার নয়, ব্যক্তিজীবনে কাজে লাগানোর বই।' উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। মিনাল ডিজিটাল মিডিয়া, পরিবর্তনশীল সমাজ, পরিস্থিতি নিয়ে আরও বেশকিছু বই লিখবেন, আশাবাদী তিনি। এই বই তারই সূচনা।
