আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্র চার বছরের এক শিশুর মুখে ‘গন্দি আন্টি’ (খারাপ আন্টি)  শব্দটি শুনেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন প্রতিবেশী এক মহিলা। বচসার জেরে শিশুটির মায়ের হাতের বুড়ো আঙুল কামড়ে ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল অভিযুক্ত রাজিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শিবপুরের পি এম বস্তিতে। গুরুতর আহত অবস্থায় আক্রান্ত মহিলা কায়নাত জান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। তদন্ত শুরু করেছে শিবপুর থানার পুলিশ।

আক্রান্ত কায়নাতের বাবা জান মহম্মদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁর চার বছরের নাতি ছাদে খেলার সময় তাদের বাড়ির ভাড়াটে রাজিয়া খাতুনকে ‘খারাপ আন্টি’ বলে। সেই কথা কানে যেতেই রাজিয়া তাদের বাড়িতে এসে চড়াও হন এবং গালিগালাজ শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে রাজিয়া খাতুন ইট নিয়ে কায়নাতের স্বামী এবং বাবাকে মারতে উদ্যত হন। 

আক্রান্ত কায়নাত ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে জানান, দেড় মাস আগে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে তাঁর দ্বিতীয় সন্তান হয়েছে। তিনি জানান, “যখন আমার বাবা এবং স্বামীকে মারতে যাচ্ছিল, তখন আমি তাঁদের মাঝখানে গিয়ে ছাড়িয়ে দিচ্ছিলাম, যাতে কোনও খারাপ ঘটনা না ঘটে। তখনই ওই মহিলা আমার হাত ধরে বুড়ো আঙুলটি কামড়ে ছিঁড়ে দেন।”

এর পরেই ক্ষুব্ধ জান মহম্মদ দাবি করেন, “যখন একটা মানুষের কামড়ে হাত ছিঁড়ে নিতে পারে, তখন তাঁকে এই সমাজে রাখা ঠিক নয়। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।”

আঙুল ছিঁড়ে যাওয়ার পর কায়নাতকে দ্রুত স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আন্দুলের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। কায়নাতের একটি চার বছরের এবং একটি আড়াই মাসের শিশু রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের দেখভালের দায়িত্ব তাঁর উপর।

জান মহম্মদ ও কায়নাতের অভিযোগের ভিত্তিতে শিবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই অভিযুক্ত রাজিয়া এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

শিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এই জঘন্য ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।