মিল্টন সেন, হুগলি:‌ পর্যাপ্ত জলের যোগান রয়েছে। তবু একাধিক বাড়িতে পৌঁছচ্ছে না পুরসভার জল। ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে পুরসভায়। মঙ্গলবার অভিযোগের ভিত্তিতে জল না পৌঁছনোর কারণ সন্ধানে বেরিয়েছিলেন হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার কাউন্সিলর পুর পারিষদ সদস্য এবং জল দপ্তরের কর্মীরা। খোঁজ নিতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। নজরে পড়ল ১৬টি বড় চৌবাচ্চায় পুরসভার জল ভরে চলছে রঙিন মাছের ব্যবসা। সঙ্গে সঙ্গেই দেওয়া হল জলের লাইন কাটার নির্দেশ।

ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাপাসডাঙা নিউ জিএস কলোনি এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা রতন বিশ্বাস বাড়িতে ষোলোটি চৌবাচ্চা বানিয়ে রঙিন মাছ চাষ করছেন। একটি বাড়ির জন্য একটি জলের লাইন নিয়ে তা পাশের বাড়িতেও ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ জল পাচ্ছেন না স্থানীয় ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা। অভিযোগ পৌঁছয় চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের কাছে। তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর ও জল দপ্তরকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। তার পরেই মঙ্গলবার সকালে কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তী, জল দপ্তরের পুর পারিষদ দিব্যেন্দু অধিকারী দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে কাপাসডাঙা এলাকায় পৌঁছন। পুরসভার জলের বেআইনি ব্যবহার দেখে চক্ষু চড়কগাছ তাদের।

বাড়ির ভিতরে বড় বড় চৌবাচ্চায় চলছে মাছ চাষ। বিনা মূল্যে জল নিয়ে বাণিজ্যিক কাজে লাগানো হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে জানান দিব্যেন্দু অধিকারী। রীতিমতো ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে তিনি ব্যবসা করছেন, দাবি করেছেন ব্যবসায়ী রতন। তবে পুরসভা তা মানতে নারাজ। জলের অপচয়, জল চুরি নিয়ে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একাধিক জায়গায় জল চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে, অভিযোগ পুরসভার।
 
ছবি:‌ পার্থ রাহা