আজকাল ওয়েবডেস্ক: শীতের মরশুম শুরু হতেই আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন ঝিলে পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করেছে। প্রতিবছর শীতের সময় সুদূর সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিয়ায়ী পাখিরা এই এলাকায় চলে আসে। আবার গরম পড়লে তারা ফিরে যায়। শীতে আলিপুরদুয়ার শহরে বিভিন্ন ঝিলে গেলেই দেখা মিলবে পরিযায়ী পাখিদের। কিন্তু আগের তুলনায় ঝিলগুলিতে পরিযায়ী পাখিদের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে ঝিলগুলি সংস্কারের অভাব, দূষণ, ঝিলের আশেপাশে লোকবসতি বেড়ে যাওয়া-সহ ঝিলগুলি কচুরিপানায় ভর্তি হয়ে যাওয়ার মতোও কারণ রয়েছে বলে পরিবেশপ্রেমীরা জানালেন। 

পরিবেশপ্রেমী শিবুন ভৌমিকের কথায়, বিভিন্ন ঝিলে সরাল, বালিহাঁস ও ব্রাহ্মণী হাঁস ছাড়াও কিছু শিকারি পাখি যেমন ওরপ্রে বা মেছো ইগল ও ব্ল্যাক ইগলও দেখা যায়। তবে আলিপুরদুয়ারের মায়া টকিজের ঝিলটিতে প্রধানত সরাল ও বালিহাঁসের দেখা মেলে। এছাড়াও ডাউক বা পানকৌড়ির মতো কিছু স্থানীয় পাখিও এই ঝিলে দেখা যায়। শীতের শুরুর সময় এখানে আসে তারা। তিন থেকে চার মাস এখানে থাকে এবং শীতের শেষের দিকে ফিরতে শুরু করে। তবে দিন দিন এই পরিযায়ী পাখিদের সংখ্যা কমছে।

এবিষয়ে পরিবেশ প্রেমী তথা আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের সম্পাদক ত্রিদিবেশ তালুকদার জানান, এক সময় আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন সবকটি ঝিল সহ ডীমা নদী, কালজানি নদীতে শীতের সময় দেখা মিলতো পরিযায়ী পাখিদের। কিন্তু এখন ডীমা ও কালজানি নদীতে পরিযায়ী পাখিদের দেখা মেলে না। কারণ এই সব নদীতে দূষণ ছড়িয়েছে। এছাড়া বেশির ভাগ ঝিলে সংস্কারের অভাবে কচুরিপানা ছেয়ে গিয়েছে বলে এই পাখিদের সংখ্যাও কমেছে বলে তিনি জানান। যে কয়েকটি ঝিল এখন ঠিক আছে এবং যেখানে কচুরিপানা কম সেখানে আসছে পরিযায়ী পাখিরা। সাইবেরিয়াতে শীত পড়লেই প্রতিবছর পরিযায়ী পাখিরা চলে আসে আবার মার্চ মাসের দিকে চলে যায়। এই পাখিদের আবাসস্থল সংরক্ষণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।