আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার মাঝরাতে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার কেন্দুয়া ছাই পুকুরে কুপিয়ে খুন করা হল এক তৃণমূল কর্মীকে। মৃতের নাম আলম শেখ (৪২) এবং তিনি সম্পর্কে ফরাক্কা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যা হাসিনার খাতুনের দেওর হন বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত আলমের বাড়ি ফরাক্কা থানার অন্তর্গত জোড়াপুকুরিয়া এলাকার বাহাদুরপুর গ্রামে ।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আলম শেখ ফরাক্কা এনটিপিসি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। তিনি কেন্দুয়া ছাই পুকুরে পাইপ রক্ষণাবেক্ষণ এবং পাইপ দিয়ে ছাই আসছে কি না তা দেখাশোনার কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতেও কাজের সূত্রেই তিনি বাড়ি থেকে বের হন। তারপর গভীররাতে ছাই পুকুরের মধ্যেই তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় ছুটে আসে ফরাক্কা থানার পুলিশ বাহিনী। তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুরনো বিবাদের জেরে কেউ বা কারা নৃশংসভাবে খুন করেছে আলম শেখকে ।
মৃত ওই ব্যক্তির দাদা কাবিল শেখ বলেন, "গতকাল রাতে আমার ভাই পাইপের কাজ করতে গিয়েছিল। সেখানেই দুষ্কৃতীরা গুলি বোমা নিয়ে উপস্থিত ছিল। প্রথমে আমার ভাইকে গুলি করা হয় তারপর তাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। যারা আমার ভাইকে এভাবে নৃশংসভাবে খুন করেছে তাদের শাস্তি চাই আমরা।" তিনি জানান," বছর পাঁচেক আগে গ্রামে কাজকর্ম নিয়ে আমার ভাইয়ের সঙ্গে কিছু লোকের বিবাদ হয়েছিল। সম্ভবত তারই জেরে আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে ।" স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে ফরাক্কা পঞ্চায়েত সমিতির তৎকালীন সদস্য ভালু শেখকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে খুন করা হয়। সেই খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন আলম শেখ ।
তৃণমূল পরিচালিত বাহাদুরপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সিদ্দিকা খাতুন জানিয়েছেন," মৃত ব্যক্তি এবং তার পরিবার তৃণমূল দলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন। এই খুনের পেছনে কারা দায়ী পুলিশ তা তদন্ত করে দেখুক।" ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন ,"মৃত ব্যক্তির দাদা আমাদের দলের সক্রিয় নেতা। তার পরিবারও তৃণমূল করে। কী কারণে এই খুন তা নিয়ে আমরা এখনও অন্ধকারে রয়েছি। "
ফরাক্কা থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। খুনের ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার বা আটক হয়নি।
