মিল্টন সেন,হুগলি,২৪ জুলাই: সামাজিক মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে চরম কুকথা। সেটাও চলেছে প্রায় টানা দুই সপ্তাহ ধরে। জেলা মুখ্য সরকারি আইনজীবীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে শাস্তি দিলো চুঁচুড়া জেলা আদালত। ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য।
খবর অনুযায়ী, ঘটনার সূত্রপাত গত মে মাসে। জেলা মুখ্য সরকারি আইনজীবী শংকর গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, গত মে মাসে প্রায় দু সপ্তাহ ধরে টানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে কুকথা ফেসবুকে প্রচার করেছেন চুঁচুড়ার যুবক ভূপাল ঘোষ। বিষয়টা তাঁর মতো অনেকের কাছেই বেশ অসহ্য হয়ে উঠেছিল। তার পর গত ৫ জুন চুঁচুড়া আদালতে তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
শংকর বাবুর অভিযোগ ছিল, সমাজ মাধ্যমে এই কুকথা প্রচার করায় মুখ্যমন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অকথ্য ভাষায় লেখা সেই ফেসবুক পোস্ট ডিজিটাল প্রমান হিসাবে সংগ্রহ করে সিআইডি। মুখ্য পিপি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অনুমতি ক্রমে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার জেরে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫৬/২ ধারায় মামলা শুরু হয়। হুগলি জেলা জজ শান্তনু ঝাঁর এজলাসে গত ১৩ জুন পাঁচ হাজার টাকার বন্ডে জামিন পান অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার সেই মামলার সাক্ষী গ্রহণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে আদালতে হাজির হয়ে অভিযুক্ত নিজেই তাঁর ভুল স্বীকার করে নেন।

শংকর গাঙ্গুলী বলেন, তিনি সাক্ষী দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন। বিচারক তাঁকে বলেন একটি পিটিশান জমা পড়েছে। অভিযুক্ত তাঁর দোষ স্বীকার করেছেন। তাই মামলা আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
এরপর পিপিকে বিচারক জিজ্ঞাসা করেন তিনি কি চান। পিপি জানান যে ধারায় মামলা হয়েছে তাঁর সর্বোচ্চ সাজা দুই বছর কারাবাস। অথবা জরিমানা অথবা কারাবাস জরিমানা দুটোই। অথবা সেবামূলক কাজ। তিনি সর্বচ্চ শাস্তিই দাবি করেন।
আরও পড়ুনঃ 'সুখ দিতে পারো না বেঁচে থেকে লাভ কী?' শরীরী খিদে মেটাতে ব্যর্থ স্বামীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন স্ত্রী
সব কিছু শোনার পর আদালত এক হাজার টাকা জরিমানা করে অভিযুক্তকে নিষ্কৃতি দেয়। পিপি বলেছেন, নতুন বিএনএস চালু হওয়ার পর রাজ্যে এই ধরণের মালায় এই প্রথম রায় হল। এতে যাঁরা সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের উদ্দেশ্যে খারাপ কথা বলেন, সমাজ মাধ্যমে লেখেন তাঁরা আরও সতর্ক হবেন। নতুন আইনে বলা হয়েছে,দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও মন্ত্রীদের মানহানি করলে সংশ্লিষ্ট সেই জেলার মুখ্য সরকারি আইনজীবী মামলা করতে পারেন। শংকর বাবু সেই আইনেই মামলা করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে ট্রেনে হাতেনাতে ধরা পড়ল চোর, কোনওমতে মায়ের অস্থি বাঁচালেন বিজেপি নেতা
