আজকাল ওয়েবডেস্ক: আলোর উৎসব দীপাবলিকে আরও রঙিন করে তোলে হরেক রকম আতশবাজি। চড়কি, তুবড়ি, রঙমশালের মতো পরিচিত আতশবাজির পাশাপাশি এ বছর বাজি বাজারে চমক হিসেবে হাজির হয়েছে আরও কিছু বাজি। আতশবাজির চিরন্তন আলোর রোশনাইয়ের সঙ্গে মিশেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। যেমন ড্রোনের আকারে তৈরি হয়েছে বাজি। বাজিতে আগুন দিলেই ড্রোনের মত আকাশে উড়ে যাবে সেই বাজি। সেই সঙ্গে বেরোবে আলোর রোশনাই। ক্যামেরা বাজি এবার বাজি বাজারের অন্যতম আকর্ষণ। বাজিতে আগুন দিলেই ক্যামেরার ফ্ল্যাশের মত আলো জ্বলবে। এছাড়া রয়েছে, কালার ব্লাস্ট। বাজিতে আগুন দিলেই তৈরি হবে হরেক রঙের কোলাজ। রঙিন তুবড়িও এবার রয়েছে নতুন বাজির তালিকায়। 

 

ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে এই সব আতশবাজির চাহিদা তুঙ্গে। ক্রেতারা দারুণ উৎসাহে বাজি কিনছেন। এদিকে ক্রেতাদের একাংশের অভিযোগ, বাজিতে নতুনত্ব এলেও দাম বেড়েছে অনেকটাই। ফলে ইচ্ছে থাকলেও নতুন বাজির বেশি করে কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

 

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম আতশবাজি বাজার চম্পাহাটি হাড়াল বাজি বাজার। এই বাজারে দেখা গেল প্রত্যেক দোকানে বিকোচ্ছে নিষিদ্ধ চকলেট বোমা। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও কীভাবে বিক্রি হচ্ছে চকলেট বোমা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দোকানদারদের বক্তব্য ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে তাই লুকিয়ে চুরিয়ে বিক্রি করতে হয় না হলে খরিদ্দার আসবেন না। 

 

চম্পাহাটি হাড়াল আতশবাজি ব্যবসায়ী সমিতির মুখপাত্র শঙ্কর মণ্ডল জানান, একাধিকবার নিষেধ করা হয়েছে। যারা আইন ভেঙে চকলেট বোমা বিক্রি করছেন প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।