মিল্টন সেন: চন্দননগরে শিশু মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা। পরিবারের দাবি, ডাকাতির উদ্দেশ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে শিশুকে। তবে মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেও খুনের কোনও প্রমাণ মেলেনি। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে চন্দননগরের কুন্ডুঘাট এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা নবকুমার বিশ্বাস ও তনুশ্রী বিশ্বাসের ছ’বছরের ছেলে নিখিল বিশ্বাস সন্ধ্যায় বাড়িতে একা ছিল। বিছানায় বসে টিভিতে কার্টুন দেখছিল সে। ওই বিছানাতেই তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
নবকুমার বাবু কলকাতা কর্পোরেশনের পাম্প অপারেটর। বুধবার সকালে তিনি কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। দুপুরে ছেলেকে একা রেখে মেয়েক স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন নিখিলের মা। বাড়ি ফিরে দেখেন নিখিল ঘুমিয়ে আছে। উঠছে না দেখে ডাকতে যায় দিদি। তখন সে বুঝতে পারে ভাইয়ের হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। তড়িঘড়ি চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অনেক আগে মৃত্যু হয়েছে নিখিলের। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিশও। নবকুমার বাবুর অভিযোগ, ডাকাতির উদ্দেশ্যেই তাঁর শিশু পুত্রকে খুন করা হয়েছে। আলমারি খুলে নগদ টাকা, গয়না চুরি যাওয়ার অভিযোগ এনেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনার তদন্তে নবকুমার বাবুর বাড়িতে আসেন পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি।
সঙ্গে ছিলেন ডিসি চন্দননগর অলকানন্দা ভাওয়াল, আইসি শুভেন্দু ব্যানার্জি, এসিপি ডিডি সহ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকের। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি কথা বলেন দম্পতির সঙ্গে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কোথাও খুনের ইঙ্গিত মেলেনি। শিশুটির নিউরো সমস্যা ছিল বলে জানা গিয়েছে। মৃতের মায়ের কাউন্সেলিং করে কথা বলা হয়েছে। ওনার কথা পরিবর্তন হচ্ছে সব সময়। তবে তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে আপাতত তদন্ত চলছে। পরিবারের তরফে চুরির অভিযোগে এফআইআর আনলে তার ভিত্তিতেও তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
