আজকাল ওয়েবডেস্ক: এসআইআর চলছে রাজ্যে। এনুমারেশন ফর্ম পর্ব পেরিয়ে চলছে শুনানি পর্ব। এর মাঝেই, একাধিক মৃত্যুর ঘটনা। অভিযোগ এসআইআর আতঙ্কের দিকে। বছরের শেষ দিনেও এই আতঙ্কেই মৃত্যুর, অভিযোগ তেমনটাই। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণদিনাজপুরের মলিগাঁও গ্রামপঞ্চায়েতে। মৃতার নাম জয়ন্তী সরকার। বয়স ৫০।
?s=48
অভিযোগ, এসআইআর আতঙ্কে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পরিবারের অভিযোগ, তাঁর ভোটার কার্ডে অসঙ্গতি ছিল। এমনকী, তাঁকে এনুমারেশন ফর্মও দেওয়া হয়নি। তাঁর ভোটারকার্ডে নাম তাঁর হলেও, ছবি অন্য মহিলার, ভুল স্বামীর নামেও, পরিবারের অভিযোগ তেমনটাই।
ইতিমধ্যেই ঘটনায় সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল। অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে পোস্ট করা হয়েছে ঘটনা প্রসঙ্গে। কাঠগরায় তোলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনকেও।
এসআইআর ঘিরে একের পর এক মৃত্যু রাজ্য জুড়ে। গত এক মাসে মৃত্যুমিছিলের সাক্ষী রয়েছে বাংলা। শুনানি পর্ব শুরু হতেই ক্রমেই সেই মৃত্যুমিছিল বাড়ছে। এর আগে সামনে আসে পূর্ব মেদিনীপুরের ঘটনা। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর বিধানসভা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ৭৫ বছরের মৃত বৃদ্ধের নাম, বিমল। রামনগর থানার অন্তর্গত সাদি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, এসআইআর প্রক্রিয়া ঘিরে শুরু থেকেই আতঙ্কে ভুগছিলেন ওই বৃদ্ধ। অভিযোগ, মঙ্গলবার চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তিনি। পরিবারের তরফে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, দিন কয়েক আগেই বৃদ্ধ জানতে পারেন, এসআইআর-এর শুনানিতে তাঁকে ডাকা হয়েছে। শুনানিতে ডাক পরতেই ভয়, আতঙ্ক আরও বেড়ে যায় তাঁর। শুনানিতে ডাকার জেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বৃদ্ধ।
তার আগেও, শুনানির জেরে আরও এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনাস্থল পুরুলিয়ায়। শুনানিতে সময়মতো পৌঁছতে না পারায়, চরম আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন এক বৃদ্ধ। এসআইআর-শুনানি ঘিরে আগে থেকেই দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন। শুনানির দিনেই চরম পদক্ষেপ করেন তিনি।
মৃত বৃদ্ধের নাম, দুর্জন মাঝি (৮২)। তিনি পুরুলিয়ার আনারার পাড়া ব্লকের চৌতালা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। আজ শুনানির জন্য ডাকা হয়েছিল তাঁকে। সোমবার সকাল থেকেই দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন। শুনানিতে বেরিয়েও, মাঝপথেই আত্মঘাতী হন তিনি।
মৃত বৃদ্ধের স্ত্রী ও ছেলে জানিয়েছেন, শুনানির জন্য সময়মতো বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু বাইরে বেরিয়েও কোনও টোটো পাননি শুনানি কেন্দ্রে পৌঁছনোর জন্য। যার জেরে আরও দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে তাঁর। সময়মতো শুনানি কেন্দ্রে পৌঁছতে না পারলে, ঝামেলা হতে পারে, এই আতঙ্কে চরম পদক্ষেপ করেন। এরপর গ্রামের অদূরে রেললাইনে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মঘাতী হন তিনি, অভিযোগ তেমনটাই। চৌতালা গ্রামের পাশে রেললাইন থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
