আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরকীয়ায় জড়িয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী। হাজারও চেষ্টা করেও স্ত্রীর খোঁজ পাননি প্রাক্তন স্বামী। কিন্তু অপেক্ষার অবসান ঘটল এসআইআর-এর শুনানিকেন্দ্রে। দেখা হল দু’জনের। কিন্তু তারপর যা হল হতভম্ব ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলেই। প্রাক্তন স্ত্রীকে দেখা মাত্রই বেধড়ক মারধর শুরু করেন প্রাক্তন স্বামী। এমনকী ওই মহিলার সঙ্গে থাকা যুবককেও বেদম প্রহার করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে সকলকে ছত্রভঙ্গ করে। নজিরবিহীন সাক্ষী থাকলেন উলুবেড়িয়া-১ ব্লকে শুনানিকেন্দ্রে আসা মানুষরা।

জানা গিয়েছে, সোমবার উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের দশটি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথের শুনানি ছিল বিডিও অফিসে। উপস্থিত ছিলেন চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও। ওই গ্রামের বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে শুনানিকেন্দ্রেই দেখা হয়ে যায় তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর। তারপরেই লঙ্কাকাণ্ড বাধে। 

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির অভিযোগ, কয়েক বছর আগে তাঁর স্ত্রী এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে যান। অনেক খুঁজেও কোনও হদিশ না মেলায়, তাঁরা নিজেদের মতো জীবনযাপন শুরু করেন। সোমবার ওই ব্যক্তির শুনানি ছিল বিডিও অফিসে। সেখানেই এসেছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীও। সঙ্গে ছিলেন অন্য এক ব্যক্তিও। দু’জনকে একসঙ্গে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলার প্রাক্তন স্বামী। আচমকা এসে প্রাক্তন স্ত্রীকে বেধড়ক মারতে থাকেন। সঙ্গী যুবক বাধা দিতে এলে তাঁকে মারধর করতে থাকেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে মারপিট বেধে যায়। শুনানির লাইনে হুলস্থুল কান্ড বেঁধে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ এসে সকলকে সেখান থেকে সরিয়ে শুনানিকেন্দ্র থেকে বাইরে বার করে দেয়। কিন্তু বাইরে বেরিয়েই আরও একদফা মারামারি শুরু হয়। শেষমেষ পুলিশ ওই মহিলার প্রাক্তন স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।‌পুলিশ জানিয়েছে, যেহেতু কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী আর শুনানিতে অংশ নেননি।