আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ পুরুলিয়ার বলরামপুরে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। লরি ও ছোট গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু ৯ জনের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য এলাকায়। দুর্ঘটনার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। দেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। 


জানা গেছে, বলরামপুর থানার নামশোল গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের পাশে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে। জামশেদপুর–পুরুলিয়া ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কে বলরামপুরের দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে উল্টো দিক থেকে আসা বোলেরো গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই ২টি গাড়ি উল্টে যায়। স্থানীয় মানুষ ও বলরামপুর থানার পুলিশ বোলেরো গাড়িতে থাকা ৯ জন আরোহীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। তাঁদের সকলকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের নিমডি এলাকায়।


স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, সংঘর্ষের পর ছোট গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামেন তাঁরা। কিন্তু কাউকে বাঁচানো যায়নি। তাঁদের অভিযোগ, এই এলাকা দিয়ে গাড়ি খুব দ্রুত গতিতে যায়। তাই প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে।


দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বলরামপুর থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার জেরে রাস্তায় যানজট হয়। পুলিশের তৎপরতায় যান চলাচল অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়। লরি চালক ও খালাসি পলাতক। তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।


জানা গিয়েছে, বোলেরো গাড়ির যাত্রীরা একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঝাড়খণ্ডের নিমডি এলাকা থেকে পুরুলিয়া এসেছিলেন। বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান শেষে নিমডি ফিরে যাচ্ছিলেন। ফেরার পথেই ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। 

ঘাতক লরিটিকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান বৃষ্টির জন্য দৃশ্যমানতা কমে যাওয়াই দুর্ঘটনার কারণ। বলরামপুরের নামশোল সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার খবর পেয়েই বাঁশগড় হাসপাতালে পৌঁছে যান পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো। সেখানে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। জানান, সবরকম সুযোগ সুবিধায় তিনি পাশে রয়েছেন।