আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৩৭ তম বর্ষে এবছর মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ চৈতক অ্যাথলেটিক ক্লাবের দুর্গাপুজোর থিম 'সত্যমেব জয়তে'। রঘুনাথগঞ্জ শহরের বাজারপাড়া এলাকায় অবস্থিত এই ক্লাবের দুর্গা প্রতিমা দেখতে প্রতিবছর জনতার ঢল নামে শহরে। পুজোতে অনন্য ভাবনার স্বীকৃতি হিসেবে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের তরফ থেকে দেওয়া পুরস্কার একাধিকবার জিতেছে এই ক্লাব। ক্লাব কর্তারা আশাবাদী এবছরও দুর্গা প্রতিমার অনন্য ভাবনা এবং প্যান্ডেলের বৈচিত্র এনে দেবে মানুষের স্বীকৃতি। 

 

ক্লাবের সম্পাদক সুমন দাস বলেন, 'প্রতি বছরই আমাদের ক্লাবের দুর্গাপুজো দেখার জন্য মানুষের ঢল নামে জেলার নানা প্রান্ত থেকে। এবছর আমাদের ক্লাবের পূজোর থিম 'সত্যমেব জয়তে'।' ৩৭ তম বর্ষে চৈতক অ্যাথলেটিক ক্লাবের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন সন্দীপ দাস এবং প্রতিমা সাজের দায়িত্বে থাকছেন চন্দননগরের এক শিল্পী। সুমন দাস বলেন, 'প্রায় ২৫ ফুট লম্বা এবং ২৭ ফুট চওড়া প্রতিমা বনকাপাসির সাজে সেজে উঠবে। প্রতিমার মাথার উপর থাকবে ভারতের একটি মানচিত্র এবং তার সামনে থাকবে অশোক স্তম্ভ। এর পাশাপাশি প্রতিমার সাজে ব্যবহার করা হবে ভারতের জাতীয় পশু, জাতীয় পাখি, জাতীয় ফুল প্রভৃতি।' 

 

মণ্ডপ সজ্জাতে অনন্যতা তুলে আনার জন্য ব্যবহার করা হবে জাতীয় পতাকা, অশোক চক্র, অশোক স্তম্ভ প্রভৃতি। এছাড়া ১০ জন বিখ্যাত মনীষীর ছবি এবং বাণী লেখা থাকবে মণ্ডপ সজ্জার অন্দরে। প্যান্ডেলের মধ্যে একটি অশোক চক্র সর্বদা ঘূর্ণায়মান অবস্থায় থাকবে। 

 

সুমন জানান, 'ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মধ্যে জাতীয় পতাকা সম্পর্কে অহমিকা বোধ গড়ে তোলা এবং জাতীয় ফল, ফুল ,পাখি পশু চেনানোর জন্য এবছর আমরা এই ধরনের একটি 'থিম' ভেবে নিয়েছি।' 

 

চৈতক অ্যাথলেটিক ক্লাবের দুর্গাপুজোর আলোক সজ্জাতে থাকবে এবার নতুন চিন্তাভাবনার ছাপ। বিগত বছরের অগ্নিকাণ্ডের মত ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যেকোনও রকম দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য মজুত রাখা থাকবে জল, মোতায়েন করা হবে প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক। 

 

ক্লাব সম্পাদক সুমন দাস জানান, 'এবছর আমাদের পুজোর বাজেট প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বেশি। চতুর্থীর দিন এই পুজোর উদ্বোধন করবেন জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায়। এছাড়া উপস্থিত থাকবেন প্রশাসন এবং রাজনীতির একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।'