আজকাল ওয়েবডেস্ক: হেড অফিসের বড়বাবুর গোঁফ চুরি গিয়েছিল, এই কাহিনী মোটামুটি সকলেরই জানা। সুকুমার রায়ের গল্পের সে এক আজব বড়বাবু। এবার শোনা গেল অন্যরকম আরেক চুরি। টাকা না, গয়না না, শাড়ি না, কোনও মূল্যবান জিনিস নয়, হয়েছে মোমো চুরি। 

 

 

শুনে ভিরমি খেলেও এটাই সত্যি। যারা মোমো খেতে ভালোবাসেন তাদের একটু ভুরু কুঁচকোচ্ছে তো? এটাই হয়েছে বর্ধমানে। শহরে ভাইরাল হয়েছে মোমো চুরির ছবি।

 

 

আসল ঘটনাটা ঠিক কী ঘটেছিল? সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে একটি নামী মিষ্টির দোকানের সামনে একটি বাইক রাখা আছে। পাশের একটি বাইক আরোহী এক ব্যক্তি ধীরে ধীরে ওই বাইক থেকে নেমে অন্য বাইকে রাখা একটি প্যাকেট নিয়ে চম্পট দিচ্ছেন। এরপরে জানা যায় ওই প্যাকেট মোমোর। যার মাল চুরি গিয়েছে তিনি সোস্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি পোস্ট করেন। সেটি শেয়ার হয়। শোরগোল পড়ে যায় নেটাগরিকদের মধ্যে। এই নিয়ে নানা মন্তব্য ভেসে আসে কমেন্ট সেকশনে। অনেকেই থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। কেউ কেউ নানা অ্যাপে বাইকের ডিটেইলস চেক করা শুরু করেন।

 

 

জানা গিয়েছে, খোওয়া যাওয়া মোমোর মালিক কুশল ঘোষ ওরফ গুলু। বাড়ি শক্তিগড় উত্তর পাড়ায়। বৃহস্পতিবার তিনি কালিবাজারে জি টি রোডের ধারে একটি দোকান থেকে এক প্লেট মোমো পার্সেল করান বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। ওই এরপরে তাঁর মনে পড়ে বাড়ির জন্য মিষ্টি কেনার কথা। বাইকে নিয়ে বিবেকানন্দ কলেজের কাছে একটি নামী দোকানে আসেন। সেখানে বাইক রেখে মিষ্টি কিনতে যান। এরই ফাঁকে তাঁর মোমোর প্যাকেট বেহাত হয়ে যায়। হৈচৈ হওয়াতে মোমো চুরি নিয়ে অনেকেই কৌতুহলী হয়ে পড়েন। দোকান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হয়। তাতেই ওই দৃশ্য ধরা পড়ে। 

 

 

মোমোর মালিক অবশ্য এখনও পর্যন্ত বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। বর্ধমান থানা সূত্রেও জানা গিয়েছে, এখনও অবধি থানায় মোমো চুরির কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।