আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার থেকে ছিল নিখোঁজ। তাকে খুঁজে পেতে ওড়ানো হয়েছিল ড্রোন। অবশেষে খোঁজ মিলল ছোট্ট একরক্তির। বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল শিশুটির মৃতদেহ। হুগলির বলাগড়ের ঘটনা। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় শিশুটির ঠাকুমা, দাদু আর জেঠিমাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। শনিবার সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। পাঁচ বছরের ওই খুদে শেষ বলেছিল ঠাকুমার ঘরে খেলতে যাচ্ছি। তারপর থেকেই খোঁজ মিলছিল না তার। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বাধাগাছিতে শিশুর বাড়িতে যান বিশাল পুলিশবাহিনী। সঙ্গে ছিলেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার, ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র। শুরু হয় তল্লাশি, ওড়ানো হয় ড্রোন। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বাড়ির লোকেদের সঙ্গে এলাকাবাসীকেও।
শিশুটির বাবা একজন গাড়ি চালক আর মা একজন গৃহবধু। নিম্ন মধ্যবর্তী পরিবারে কী শত্রুতার জেরে শিশুটি নিখোঁজ হয়ে গেল তাই নিয়ে চিন্তায় ছিল এলাকাবাসী। স্হানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরে বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির দেহ। দাদুই প্রথম দেখেন নাতির দেহ। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তদন্তে উঠে আসে, শিশুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে ঠাকুমা, জেঠিমার ঝামেলা লেগেই থাকত। এলাকাবাসীর সন্দেহ, বাড়ির ভিতরেই কিছু ঘটে থাকতে পারে। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। উঠে এসেছে চাঞ়্ল্যকর তথ্য। মৃতের ঠাকুমা প্রায়ই এক তান্ত্রিকের কাছে যেতেন। এই ঘটনায় তান্ত্রিক যোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
