আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি থানা এলাকার এক গ্রামে জমির আল খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। আদিবাসী সম্প্রদায়ের কয়েকজন মানুষ ইঁদুরের খোঁজে জমি খুঁড়তেই মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা কার্তুজ বেরিয়ে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শালবনি থানার পুলিশ প্রায় ২০০টি কার্তুজ উদ্ধার করে।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কার্তুজগুলি অনেক পুরনো এবং বর্তমানে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, ওই জমির আলের পাশেই এক সক্রিয় সিপিআইএম কর্মীর জমি রয়েছে এবং সিপিআইএমের হার্মাদ বাহিনীই এই কার্তুজ লুকিয়ে রেখেছিল। পাল্টা সিপিআইএম নেতাদের দাবি, তৃণমূলের তৎকালীন ‘বন্ধু’ মাওবাদীরাই এই কার্তুজ মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিল।

জেলা পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানান, “কিছু পুরনো কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করা হয়েছে।” পুলিশি তদন্তে প্রকৃত সত্য সামনে আসবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

 

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে এই জেলায় গোয়ালতোড় থানার অন্তর্গত বড়ডাঙা গ্রামে জমি সমানের কাজ চলাকালীন মাটি কাটতে গিয়ে গ্রামবাসীদের কোদালের আঘাতে ধাতব শব্দ শোনা যায়। এতে সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপর আরও মাটি খুঁড়ে দেখা যায়, মাটির তলায় বস্তাবন্দি অবস্থায় লুকিয়ে রাখা রয়েছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি দোনলা বন্দুক। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছিল প্রায় হাজার খানেক কার্তুজ। 

সম্প্রতি একদা মাওবাদী অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর ব্লকের মালবাঁন্দি এলাকায় ফের অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা সামনে এসেছে। গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ একটি সেতুর কাছে মাটিতে পোঁতা অবস্থায় একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি চালানো হলে অস্ত্রটি উদ্ধার হয়।

এক সময় মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় ক্ষেতের মধ্যে এই গুলি উদ্ধারের ঘটনায় ফের তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। পুলিশ প্রশাসনের তরফে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকায় নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।