আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না। নতুন করে গভীর নিম্নচাপের জেরে অতি প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে। জেলায় জেলায় জারি সতর্কতা। পাশাপাশি আবারও মৎস্যজীবীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করল আবহাওয়া দপ্তর।

 

শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়া ইয়াগি ক্রমাগত পশ্চিম দিকে সরছে। এবং কয়েকটি মডেলের মতে, এটি ক্রমে বাংলাদেশ, মায়ানমার সীমান্তের দিকে সরে আসছে। এটি ওড়িশা উপকূলে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া একটি গভীর নিম্নচাপের সঙ্গে যুক্ত হবে। এবং সেই জোড়া ফলা ক্রমে আরও পশ্চিমদিকে সরবে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে এই জোড়া ফলার দাপটে ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব দেখা যাবে বেশ কয়েকদিন। 

 

মনে রাখতে হবে, ভিয়েতনামে তাণ্ডব চালানো টাইফুন গত ৩০ বছরের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। খবর মিলেছে, সে দেশে কমপক্ষে ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই টাইফুনের দাপটে। এই ঝড়ের গতি ছিল প্রায় ১৯৭ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। বলা চলে, এই বিধ্বংসী টাইফুনের লেজুড় এবং সাগরে তৈরি হওয়া অতি শক্তিশালী নিম্নচাপের জোড়া ফলাতে কার্যত তছনছ হতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অংশ। 

 

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, মধ্য মায়ানমারে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। আগামী দু’দিনে তা নিম্নচাপের রূপ নিয়ে বাংলাদেশ উপকূল ও সংলগ্ন পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করবে। নিম্নচাপটি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তৈরি হতে পারে। 

 

দক্ষিণবঙ্গে ১২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর, রবিবার পর্যন্ত প্রবল দুর্যোগের পূর্বাভাস রয়েছে। আজ পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। 

 

আগামিকাল, শুক্রবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুরে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারি বৃষ্টি হবে। শনিবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। রবিবারেও বিক্ষিপ্তভাবে ভারি বৃষ্টি চলবে। ১৩ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।