আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার রাত থেকে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনের মুখে মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ ব্লকের প্রতাপগঞ্জ পঞ্চায়েতের লোহরপুর গ্রাম। গতকাল রাত থেকে শুরু হওয়া ভাঙনে মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে প্রায় ৫০ মিটার জমি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গেছে। গঙ্গা নদীর ভয়াবহ ভাঙন আরও বাড়তে পারে এই আশঙ্কায় ইতিমধ্যে নিজেদের বাড়িঘর ভেঙে অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেছে প্রায় দশটি পরিবার।
লোহপুর গ্রামের বাসিন্দা গোকুল রবিদাস বলেন, 'সোমবার রাত সাতটা থেকে গ্রামে হঠাৎই নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। আজ সকালের মধ্যে নদী প্রায় ৫০ মিটার এগিয়ে এসেছে। একটি বাড়ির শৌচালায় ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। আরও দশটি বাড়ি যেকোনও সময় তলিয়ে যেতে পারে। তাই ভাঙনের আশঙ্কায় সকলে নিজেদের বাড়িঘর ভেঙে স্থানীয় এমএসকে এবং অন্যত্র চলে যেতে শুরু করেছে।'
এলাকাবাসীদের দাবি গত দু' বছরে ওই গ্রামেরদিকে গঙ্গা যদি প্রায় দেড় কিলোমিটার এগিয়ে এসেছে। প্রতাপগঞ্জ পঞ্চায়েতের প্রধান আয়েশা বিবি বলেন, 'ওই এলাকায় গঙ্গা নদীর ভাঙন যদি এখনই বন্ধ না হয় তাহলে ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়বে গোটা সামশেরগঞ্জ ব্লক। ইতিমধ্যেই বাঁধের একদম কাছে নদীর স্রোত চলে এসেছে। যেকোনও সময় তা ভেঙে যেতে পারে। বাঁধ ভেঙে গেলে প্রতাপগঞ্জ ,চাচন্ড সহ একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকশ গ্রাম প্লাবিত হতে পারে।'
তৃণমূল প্রধান বলেন, 'কিছুদিন আগে এই এলাকায় বালির বস্তা ফেলে নদী ভাঙন প্রতিরোধের কাজ শুরু হয়েছিল কিন্তু তার মধ্যে নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় গোটা কাজটাই জলের তলায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১২ টি পরিবার অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেছে। তাদের জন্য ত্রিপল এবং খাওয়া ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'
সামশেরগঞ্জের বিডিও সুজিত লোধ বলেন, 'লোহরপুরে ভাঙনের বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সেচ দপ্তরের সাথে আমার কথা হয়েছে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন বেশ কিছু পরিবারকে অন্যত্র সরানো হচ্ছে। গতকাল থেকে ওই গ্রামে গঙ্গা নদীর জলস্তরের খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। জলস্তর কিছুটা না কমলে ওই এলাকায় ফের নতুন করে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।'
