আজকাল ওয়েবডেস্ক: অভিযোগ, মাসতুতো দাদার কাছে একাধিকবার ধর্ষিত হওয়ার পর অপমানে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হয় নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা নাবালিকা ঐ ছাত্রীর গত ৫ তারিখে মালদা মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর প্রায় ১২ দিন পর নির্যাতিতা ওই নাবালিকার বাবা বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
নির্যাতিতা ওই নাবালিকার বাবা পেশায় একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক এবং মা আইসিডিএস কর্মী। মৃতার বাবার অভিযোগ, 'গত চার বছর ধরে আমাদের অজান্তে আমাদেরই এক নিকটআত্মীয় মেয়েকে ধর্ষণ করে চলেছিল। আমাদের সন্দেহ পরিবারের ওই সদস্যের কাছে আমার মেয়ের কোনও আপত্তিকর ছবি ছিল। তা দেখিয়ে মেয়েকে ব্ল্যাকমেল এবং ধর্ষণ করা হত।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'আমার স্ত্রী দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ। তাই তাঁর চিকিৎসার কারণে আমাদের মাঝেমধ্যেই বাইরে যেতে হয়। আমাদের সন্দেহ সেই সুযোগে আমাদের বাড়িতে এসে অথবা ওই যুবকের বাড়িতেই আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হত।'
মৃত ওই নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন, এই সম্পর্কের ব্যাপারে তাঁরা বছরখানেক আগেই জানতে পেরেছিলেন। তখন দুই পরিবারের মধ্যে একটি সালিশি সভা হয়। তবে দুই পরিবারের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকায় সেই সময় তাঁরা কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। ওই যুবককে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিতসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যখন রাজ্য উত্তাল তখন মেয়ের আত্মহত্যার সুবিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে মুর্শিদাবাদের পরিবারটি।
