মানস চৌধুরী, দমদম: দমদমে ফের একবার ভয়ঙ্কর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যা স্থানীয় সমাজকে আতঙ্কে ফেলে দিয়েছে। শনিবার রাতে এক নাবালিকা টিউশন থেকে বাড়ি ফিরছিল। তখন তাকে হঠাৎ সাত থেকে আট জনের দুষ্কৃতী দল টোটোতে তুলে নিয়ে যায়। নাবালিকাকে দমদম পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের হরিজন বস্তিতে নিয়ে যায় তারা। সেখানেই তাকে নৃশংসভাবে গণধর্ষণ করা হয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে দমদম থানায় অভিযোগ জানানো হলে, পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তল্লাশি শুরু করে। অভিযুক্তদের শনাক্তকরণ ও ধরপকড়ে কাজ করে দমদম থানার পুলিশ। অভিযান শেষে রিকি পাসওয়ান, রাজেশ পার্সোয়ান এবং সঞ্জয় সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই তিনজনকে আজ আদালতে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়
স্থানীয়রা এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন নৃশংস ঘটনা প্রতিরোধে শুধু পুলিশি নজরদারিই নয়, সামাজিক সচেতনতা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা অত্যন্ত জরুরি।
পুলিশের সূত্রে জানা যায়, ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। আরও কিছু তথ্য উদঘাটন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নাবালিকার পরিবারও সমাজের প্রতি অনুরোধ করেছে, যেন ঘটনার সঠিক তথ্য প্রকাশ পায় এবং অভিযুক্তরা শাস্তি পায়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারেই কোচিং সেন্টারে ধর্ষণের শিকার হয় এক নাবালিকা। নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় শোরগোল বীরভূম জেলায়। ওই নাবালিকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই ঘটনায় যারা যুক্ত তারাও নাবালক বলে জানা গিয়েছে। ওই নাবালিকারই সহপাঠী। ফাঁকা কোচিংয়ে ছাত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে তার দুই সহপাঠী। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়িতে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ অষ্টম শ্রেণির ওই ব্যাচের টিউশন পড়ানোর কথা ছিল সিউড়ির স্থানীয় এক শিক্ষকের। নাবালিকার দুই সহপাঠী তাকে বলে, স্যার সকাল সাতটা থেকে পড়াবেন। সেইমতো নাবালিকা এবং দুই ছাত্র কোচিংয়ের অন্য এক শিক্ষকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে কোচিং সেন্টার খোলে। অভিযোগ, সেই সময় কেউ না থাকার সুযোগে দুই নাবালক ছাত্র ধর্ষণ করে ওই নাবালিকাকে।
বাড়ি ফিরে ওই নাবালিকা সমস্ত কথা তার পরিবারকে জানায়। বিষয়টি জানতে পেরে মেয়ের বাবা সিউড়ি থানার দ্বারস্থ হন। শুক্রবার রাতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেন সিউড়ি থানায়। এরপর তদন্তে নেমে দুই নাবালককে তাদের বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। শনিবার তাদের দু'জনকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪দিনের হোমে রাখার নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী অনিন্দ্য সিংহ।
তিনি বলেন, ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয় সিউড়ি থানায়। এদিন বিচারক ১৪ দিন হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে নাবালিকাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিতে তোলা হয়েছে।
