আজকাল ওয়েবডেস্ক: কনকনে ঠান্ডায় একদিকে ঘন কুয়াশা, অন্যদিকে সামনে জিভের জল ঝরানো বোরোলি মাছ ভাজা। বাঙালিকে যদি প্রশ্ন করা হয় এই জায়গাটা কোথায়? একবাক্যে সকলে বলে উঠবেন, উত্তরবঙ্গ। যেখানে এই শীতে নদী থেকে তুলে আনা উত্তরবঙ্গের অন্যতম পরিচিতি বোরোলি মাছ ভাজা নিয়ে পর্যটকদের অপেক্ষায় ডুয়ার্সের বাসিন্দারা। 

 

এবছরও বোরোলির টানে গজলডোবা ছুটবেন তাঁরা। নিশ্চিত সকলেই। টাটকা বোরোলির জন্য গজলডোবায় সারা বছর ভিড় থাকলেও শীতে এই ভিড় অনেকটাই বেড়ে যাবে। কারণ, তিস্তা পাড়ের এই এলাকার বোরোলি বিখ্যাত। একদিকে গজলডোবার প্রাকৃতিক পরিবেশ অন্যদিকে সেখানে পর্যটনের সুযোগ, যা সুনাম কুড়িয়েছে সকলের। অনেকটাই বিকশিত গজলডোবার পর্যটনশিল্প। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নিজের উদ্যোগে তৈরি হওয়া 'ভোরের আলো' পর্যটনকেন্দ্র এই গজলডোবাতেই। 

 

যেখানে শীতের মরসুমে পরিযায়ী পাখি থেকে শুরু করে নদীর উপর বাঁধ ও নৌকা বিহার পর্যটকদের কাছে একটা বড় আকর্ষণ। এর সঙ্গে উপরি পাওনা বোরোলি ভাজা। আর শুধু বোরোলি নয়, এখানে মেলে কাঁকড়া, চিংড়ি, পমফ্রেট মাছের মতো বিভিন্ন মুখোরোচক খাবারের সম্ভার। দাম কিন্তু বিশাল নয়। মাত্র ৫০ বা ১০০ টাকা প্লেট হিসেবে রান্না করে দেওয়া হয় এই মাছ। দাঁড়িয়ে থেকে রান্না করিয়ে নেওয়া যায়। ফলে পাখি দেখতে যেমন পর্যটকরা এই এলাকায় আসেন, তেমনি বোরোলি খেতেও এখানে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে তা নিয়ে নিশ্চিত ব্যবসায়ীরা।