আজকাল ওয়েবডেস্ক: সন্ধ্যাবেলা বই নিয়ে পড়তে না-বসায় ছেলেকে শিকল দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। ছেলেকে মারের হাত থেকে বাঁচাতে না-পেরে থানায় গেলেন মা। অবশেষে পুলিশ অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের পাল্লা-দুর্গাপুর গ্রামে। পুলিশও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সঞ্জয় কর্মকার দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা। তাঁর ছেলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সে পাল্লা হাইস্কুলে পড়াশোনা করে। কিছুদিন পরেই স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা। অথচ শুক্রবার সন্ধ্য়ায় ছেলে পড়াশোনা করছিল না। তাকে শাসন করার জন্য মা সোমা কর্মকার স্বামীকে ফোন করে তা জানিয়েছিলেন। 

 

 

তিনি ভেবেছিলেন, স্বামী বাড়ি ফিরে ছেলেকে পড়তে বসার জন্য শাসন করবেন। কিন্তু স্বামী বাড়ি ফিরে অন্য কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন। মামুলি বই পড়তে না-বসায় বাবা সঞ্জয় লোহার শিকল দিয়ে ছেলেকে একটি কংক্রিটের খুঁটির সঙ্গে প্রথমে বেঁধে ফেলেন। তারপর তাকে বেধড়ক মার শুরু করেন। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মা সোমাও স্বামীর হাতে মার খান। রাতভর খুঁটির সঙ্গে শিকল দিয়ে সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় মা শিকল কেটে ছেলেকে নিয়ে প্রথমে হাসপাতালে যান। তারপর সোজা তিনি গোপালনগর থানায় চলে যান। 

 

 

স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে। স্বামী গ্রেপ্তার হওয়ার পর সোমা তাঁর ছেলেকে নিয়ে বনগাঁয় বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছেন।সংবাদমাধ্যমের সামনে সোমা বলেন, 'সব বাবা-মা সন্তানকে শাসন করেন। ছেলে বই পড়ছিল না বলে আমি স্বামীকে শাসন করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাই বলে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে কেউ সন্তানকে মারতে পারে? চোখের সামনে ছেলেকে নিষ্ঠুরভাবে মার খেতে দেখে আমি আর শান্ত থাকতে পারছি না। আমি স্বামীর শাস্তি চাই।'