আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার থেকে জঙ্গিপুর আদালতে শুরু হল মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা থানা এলাকার নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া। আজ থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৪ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে বলে জানা গেছে।
জঙ্গিপুর আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী সমীর চ্যাটার্জী বলেন, 'অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট এবং সেশনস জাজ অমিতাভ মুখার্জির এজলাসে আজ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।' আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়ার প্রথম দিন, একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সহ মোট চারজন নিজেদের সাক্ষ্য দিয়েছেন। মঙ্গলবার আরও দু' জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
সমীর আরও জানান, 'অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা এর আগে তাদের জামিনের আবেদন করেছিলেন। কোর্টে তা খারিজ করে দিয়েছে। আজ অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে দু' জন আইনজীবী সাক্ষীদের 'ক্রস এক্সামিন' করেন।'
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর বাড়ির সামনে খেলা করার সময় হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় ফারাক্কা থানা এলাকার বাসিন্দা বছর দশকের এক নাবালিকা। ওই নাবালিকার পরিবারের লোকেরা প্রায় ৩ ঘন্টা খোঁজাখুঁজির পর দীনবন্ধু হালদার নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন ওই নাবালিকার বস্তাবন্দী দেহ।
নাবালিকাকে খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে দীনবন্ধুকে ব্যাপক মারধর করে স্থানীয় জনতা। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠার পর ফারাক্কা থানার পুলিশ দীনবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে দীনবন্ধু জানায়, শুভ হালদার নামে আরও এক যুবক ওই নাবালিকাকে খুনের ঘটনায় তার সাথে যুক্ত ছিল। ফারাক্কা থানার পুলিশ এরপর শুভকেও গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, তথ্য প্রমান লোপাট এবং পকশো আইনের ৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে এই খুনের ঘটনার তদন্ত শেষ করে রেকর্ড সময়ে মাত্র ২১ দিনের মাথায় দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ফারাক্কা থানার পুলিশ। এই মামলায় বিশেষ সরকারি আইনজীবী হিসেবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে বিভাস চ্যাটার্জিকে নিয়োগ করা হয়েছে।
