আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, রাজ্যে ততই জোরদার হচ্ছে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)।

সেই আবহেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের গণেশপুর এলাকায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, একই পরিবারের তিন সদস্য তিন দেশের বাসিন্দা।

এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কিন্তু কীভাবে সামনে এল এই তথ্য? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গণেশপুর এলাকার বাসিন্দা এক গৃহবধূ কৃষ্ণা দাস বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্য কার্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। এই কার্ড থাকলে স্থানীয় উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মেলে চিকিৎসা। কিন্তু জানা যায়, ওই গৃহবধূর কাছে এমন কোনও কার্ড ছিল না।

নথিপত্র যাচাই করতে গিয়ে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের নজরে আসে বিস্ফোরক তথ্য। জানা যায়, ওই গৃহবধূ দু’মাস আগে স্বামীর সঙ্গে মায়ানমার থেকে কাকদ্বীপে এসেছেন এবং তাঁর কাছে মায়ানমারের ভোটার কার্ড রয়েছে।

গৃহবধূর আসল নাম আই থান্দার। বর্তমানে তিনি কৃষ্ণা দাস নামে পরিচিত। তাঁর স্বামীর নাম রাম দাস। পরিবার সূত্রে জানা যায়, রামের বাবা রাজু দাস ও মা সুমতি দাস প্রায় ১৫ বছর আগে সীমান্ত পেরিয়ে কাকদ্বীপে চলে আসেন।

বর্তমানে তাঁরা গণেশপুরে ভাড়াবাড়িতে বসবাস করছেন এবং তাঁদের ভারতের ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড রয়েছে। জানা গিয়েছে, রাম দাস আগে বাংলাদেশে ব্যবসা করতেন।

ব্যবসার সূত্রেই তাঁর মায়ানমারে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সেখানেই আই থান্দারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। পরে স্বামী-স্ত্রী মায়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে আসেন এবং সেখান থেকে প্রায় দু’মাস আগে কাকদ্বীপে রামের বাবা-মায়ের কাছে চলে আসেন।

বর্তমানে তাঁরা এখানেই থাকলেও তাঁদের কারও ভারতের ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড নেই। ঘটনাটা যে সত্যি তা স্বীকার করেছেন রামের মা সুমতি দাস ও কৃষ্ণা দাস।

কাকদ্বীপের মহকুমা শাসক প্রীতম সাহা জানান, বিষয়টি ইতিমধ্যেই তাঁর কানে এসেছে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই প্রসঙ্গে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার বলেন, ‘সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব বিএসএফের। বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে কীভাবে অনুপ্রবেশ হচ্ছে, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আরও কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফের নজরদারি আরও বাড়ানো উচিত।’ এই ঘটনাকে ঘিরে গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।