আজকাল ওয়েবডেস্ক: এসআইআর-এর কাজ নিয়ে বিএলও-দের সতর্ক করল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়। মৃত, ডুপ্লিকেট এবং স্থানান্তর হওয়া ভোটারদের তথ্য আপডেটের ক্ষেত্রে ভুল থাকলে তার দায় বর্তাবে সংশ্লিষ্ট বিএলও-এর উপর। সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে নির্বাচন কমিশন। সিইএ দপ্তরের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ, 'এসআইআর-এর প্রথম পর্বের কাজের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ৪ঠা ডিসেম্বরের বদলে তা শেষ হচ্ছে ১১ ডিসেম্বর। এই বর্ধিত সময়ের মধ্যে বিএলও-রা এনুমারেশন ও ডিজিটাইজেশনের কাজ পরীক্ষা করার সুযোগ থাকছে বিএলও-দের কাছে। তাই নিশ্চিৎ করতে হবে যাতে কাজে কোনও ভুল ভ্রান্তি যেন না থাকে। মনে রাখেবন বিএলও-রা এসআইআর-এর কাজের জন্য নির্বাচন কিমশেনর কাছে ডপুটেশেনে রয়েছন এবং ভেরিফেকশেনর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব কমিশন বিএলও-দের দিয়েছে। সেজন্য ইচ্ছাকৃত কোনও ভুল দেখা গেলে কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।'
বিবৃতিতে রয়েছে, মৃত,অনুপস্থিত, স্থানান্তরিত, ডুপ্লিকেট ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি বিএলও-দেরই নিশ্চিৎ করতে হবে। ,
সিইও দপ্তরের এই কড়া নির্দেশিকায় ক্ষুব্ধ বিএলও-দের একাংশ। তাঁদের দাবি, নির্বাচন কমিশন দায় ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া, এক্ষেত্রে কাঠগড়ায় তোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে বিএলও-দের।
সিইও দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বুধবার বিকেলের পর্যন্ত ৯৮ শতাংশের বেশি (৯৮.২১ শতাংশ) ফর্ম ডিজিটাইজড হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ পেরিয়েছে। অনুপস্থিত বা খুঁজে পাওয়া যায়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৮ লক্ষ পেরিয়েছে। অন্যত্র চলে যাওয়া ভোটারের সংখ্যা সাড়ে ১৭ লক্ষের বেশি। ডুপ্লিকেট ভোটারের সংখ্যা ১.২ লক্ষের বেশি। আপাতত আন-কালেক্টেটবল ফর্ম ৫০ লক্ষ ২২ হাজার ৪১০।
আন-কালেক্টেবল বলতে ঠিক কাদের কথা বলা হচ্ছে?
যাঁরা মৃত, অনুপস্থিত, যাঁরা স্থায়ীভাবে সরে গিয়েছে, আগেই এনরোল করা ছিল বা নাম ছিল এবং অন্যান্যদের মিলিয়ে এই আন-কালেক্টেবল। যদিও কমিশনের বক্তব্য, যেহেতু এখনও একাধিক জেলায় এখনও আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যাটা আপলোড করা হচ্ছে না, তাই স্বাভাবিকভাবেই আসল সংখ্যাটা পাওয়া যাচ্ছে না।
এই কারণে দিল্লির নিয়োগ করা স্পেশ্যাল অবজার্ভার সুব্রত গুপ্ত বেশ কয়েকজন বিএলও-র কাজের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট।
