আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধারে গ্রেপ্তার অপরাধীদের আশ্রয়দাতা মহিলা। মৃত হজরত লস্করের প্রাক্তন স্ত্রী পূজা দাসের বান্ধবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম সোফিয়া খাতুন। বামনগাছি এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে ওই মহিলার বাড়ি মাত্র ২০০ মিটার দূরে। তবে খুনের ঘটনায় ঠিক কী ভূমিকা ছিল সোফিয়ার, তা এখনও খোলসা করেনি পুলিশ। 


এদিকে হজরত লস্করের মুণ্ডুর হদিশ এখনও মেলেনি। গত সোমবার দত্তপুকুরের মালিয়াকুরের একটি ক্ষেতের মধ্য থেকে যে মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 


এদিকে, সূত্রের খবর, দত্তপুকুর থেকে যে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেটি হজরত লস্করের বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানালেও নিশ্চিত হতে লস্করের বাবা মায়ের ডিএনএ পরীক্ষা করছে পুলিশ। 


এদিকে, তদন্তকারীদের দাবি, সোমবার নৃশংস খুনের ঘটনায় সুফিয়ার প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। 


তদন্তে জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধের পর থেকেই দুষ্কৃতীরা বামনগাছির বাসিন্দা সুফিয়া খাতুনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। রাত দু’‌টোর পর হজরত লস্করকে বাজিতপুরের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে যারা, তারা প্রত্যেকেই ‘‌সেফ হাউস’‌ হিসাবে সুফিয়ার বাড়িতেই অপেক্ষা করেছিল বলে অনুমান পুলিশের। তবে হজরতকে খুন করায় সুফিয়ার কি লাভ তা খতিয়ে দেখছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। ধৃতকে শুক্রবার বারাসত আদালতে পাঠানো হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, হজরতকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তার আত্মীয় ওবায়দুল গাজি ও পূজা দাস ওরফে নিশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দশ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে তাদের।