আজকাল ওয়েবডেস্ক: জল অথবা অন্য খাবার খেয়ে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পুরসভা এলাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কমপক্ষে ৭০ থেকে ৮০ জন বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন। অসুস্থ থাকাকালীন জঙ্গিপুর হাসপাতালে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর নাম আয়েশা বিবি ,বাড়ি ধুলিয়ান পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ।

অল্প সময়ের মধ্যে এত বিপুল সংখ্যক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় এবং একজনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে ।

ইতিমধ্যে ধুলিয়ান পুরসভার তরফে মেডিক্যাল টিম পাঠানোর পাশাপাশি পরিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের জন্য জলের ট্যাংক পাঠানো এবং এলাকা পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধুলিয়ান পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম মাঠপাড়া এলাকায় গত  দু'দিন ধরে বেশ কিছু মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের অনেকের বমি, ডায়রিয়া, জ্বর-সহ একাধিক লক্ষণ রয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং অনুপনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 পরিস্থিতি সামাল দিতে ধুলিয়ান পুরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করে জল ফুটিয়ে খাওয়া-সহ একাধিক  নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অপু বলেন,"আমার ওয়ার্ডের কিছু কিছু এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে, তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। ধুলিয়ান পুরসভা সব রকমভাবে বাসিন্দাদের পাশে থাকবে।” ধুলিয়ান পুরসভার চেয়ারম্যান ইনজামামুল ইসলাম বলেন," পুরসভার তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত মোট ৩১ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে কী কারণে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সেই বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত নই ।"

তিনি বলেন," অনেকে দাবি করছেন জল খেয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ অসুস্থ হয়েছেন। পুরসভার একটি নির্দিষ্ট ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক থেকে ১১ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াও আরও একাধিক ওয়ার্ডে জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু আর কোনও ওয়ার্ড থেকে আমাদের কাছে কেউ অসুস্থ হওয়ার রিপোর্ট এসে পৌঁছায়নি। তার ফলে জলের কারণে এই অসুস্থতা কিনা সেই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই। ইতিমধ্যেই ওই ওয়ার্ডের জল পরীক্ষা করার জন্য কলকাতায় ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে ।"

চেয়ারম্যান আরও বলেন," কী কারনে একসঙ্গে এত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তা পুরসভার মেডিক্যাল টিম এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের ডাক্তাররা খতিয়ে দেখছেন। অপরিচ্ছন্ন এলাকায় জল সংগ্রহ করে খাওয়া বা বিষাক্ত খাবার খেয়ে এত সংখ্যক মানুষ অসুস্থ হয়ে  থাকতে পারেন।"

মৃত আয়েশা বিবির পরিবারের লোকেরা যদিও দাবি করেন ,পুরসভার জল খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়েছিলেন আয়েশা। তাঁকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়েছে ।