বিভাস ভট্টাচার্য 

দার্জিলিং মানেই টয় ট্রেন। কু ঝিক ঝিক আওয়াজ। সর্পিল গতিতে ট্রেন ছুটে চলে পাহাড়ের আঁকে বাঁকে। এবার এই টয় ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিল রেল। খুব তাড়াতাড়ি এই ট্রেনে বাড়ানো হতে পারে কোচের সংখ্যা। সেজন্য আনা হচ্ছে এক বিশেষ ইঞ্জিন। যা সম্পূর্ণ পরীক্ষা করে দেখার পর যাত্রী পরিষেবায় ব্যবহার করা হবে। 

 

কেন এই উদ্যোগ? উত্তরে নর্থইষ্ট রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশ বা বিদেশ যাই হোক না কেন, দার্জিলিংয়ে যারা যান তাঁদের সকলের কাছেই টয় ট্রেন একটা বিশেষ আকর্ষণ। টিকিটের চাহিদা সবসময় থাকে। বিশেষ করে পুজো বা পর্যটন মরসুমে যারা দার্জিলিং যান তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ইচ্ছে করলেও এই ট্রেনে চড়তে পারেন না। কারণ, টিকিট মেলে না। 

 

ফল হিসেবে যাত্রী বোঝাই দু'কামরার ট্রেন বেরিয়ে যায় আর তা পাশ থেকে দেখতে হয় অনেককে। ফলে কোচের সংখ্যা যদি বাড়ানো যায় তাহলে আরও বেশি যাত্রী এই ট্রেনে চড়ার সুযোগ পাবেন। 

 

কিন্তু পাহাড়ি এলাকা এবং ইঞ্জিনের ক্ষমতা বিচার করে ইচ্ছে করলেই এই টয় ট্রেনে কোচের সংখ্যা বাড়ানো যায় না। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, পাহাড়ি পথ বেয়ে যেহেতু টয় ট্রেন এগিয়ে যায় সেজন্য ইঞ্জিনের ক্ষমতা যাচাই করা বা বিশেষ করে ওঠা-নামার দিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই দিকটি মাথায় রেখেই একটি বিশেষ ইঞ্জিন আনা হবে। 

 

যদিও যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ইঞ্জিনটির ছাড়পত্র দেওয়ার আগে বেশ কয়েকবার পরীক্ষা করে দেখে নেবে রেল। পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর জোড়া হবে আরও একটি কোচ। 

 

কবে থেকে চালু হতে তিন কামরা বিশিষ্ট টয় ট্রেন? ওই সূত্রটি জানায়, এই পুজোয় নয়। সব ঠিকঠাক থাকলে সামনের পুজোর সময় যাতে চালু করা যায় সেই চেষ্টা করা হবে।