আজকাল ওয়েবডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। দার্জিলিংয়ের মাথায় নয়া মুকুট। চা পাতার পর এবার আরও এক বিষয়ে মিলল জিআই ট্যাগ।
অবশেষে প্রায় ৩ বছরের অপেক্ষার পর জিআই ট্যাগ অর্জন করল দার্জিলিংয়ের ম্যান্ডারিন কমলালেবু। মিরিক ও দার্জিলিং পাহাড়ে উৎপাদিত সুস্বাদু ও রসালো ম্যান্ডারিন কমলালেবুর জিআই ট্যাগ পাওয়ার লড়াই শুরু হয় ২০২২ থেকেই।
কমলা উৎপাদক সংস্থা ‘দার্জিলিং অরেঞ্জ গ্রোয়ার্স প্রডিউসার অর্গানাইজেশন’-এর চেয়ারম্যান মনোজ সুব্বার নেতৃত্বে এই কাজ শুরু হয়েছিল বছর ৩ আগে। পরবর্তীকালে কালিম্পংয়ের আঞ্চলিক কমলালেবু গবেষণা কেন্দ্রের প্রাক্তন অধ্যাপক তুলসী শরণ ঘিমিরে এই উদ্যোগ নেন বলে জানা যায়। বেশ কয়েক ধাপ পর অবশেষে চলতি বছরের ২৪ নভেম্বর জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয় ম্যান্ডারিন কমলালেবুকে। খবর জানাজানি হতেই খুশি্র মেজাজ পাহাড়ে।
দার্জিলিং পাহাড়ে কমলালেবুর চাষ মূলত হয়ে থাকে মিরিক বস্তি, সুখিয়াপোখরি, বিজনবাড়ি, মংপু, , ও সিটংয়ে। বিজনবাড়ি ব্লকেও সামান্য কিছু কমলালেবু বাগান রয়েছে। ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় ১৫ হাজার মেট্রিক টন কমলালেবু উৎপাদন হয়েছিল। বিগত বছর গুলিতে ভাইরাস ও পোকার আক্রমণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হন কমলা চাষিরা। উৎপাদন কমেছে অনেকটাই।
দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার প্রায় চার হাজার কৃষক এখনও কমলালেবু চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। জিআই স্বীকৃতি পেয়ে তাঁরা অথারাইসড ইউজারের স্বীকৃতি পাবেন বলে জানা গিয়েছে। এবার থেকে উৎপাদিত এই ফলের সঠিক মূল্য পাওয়ার অধিকার থাকবে চাষিদের। বাংলায় মোট ১১টি কৃষি ও উদ্যানজাত পণ্য জিআই মর্যাদা পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং চা। দার্জিলিং চা ২০০৫ সালে জিআই ট্যাগ পায়। দার্জিলিং পাহাড়ের ম্যান্ডারিন কমলালেবু স্বাদে, গুণে অতুলনীয়। বিদেশেও সমাদৃত। কয়েক বছর আগে থেকে ম্যান্ডারিনের জিআই ট্যাগের দাবি উঠছিল। অবশেষে এই স্বীকৃতিতে উচ্ছ্বসিত পাহাড় থেকে সমতল ।
