আজকাল ওয়েবডেস্ক: কখনও হালকা আবার কখনও মাঝারি। দিঘায় শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টি। সেইসঙ্গে উত্তাল হতে শুরু করেছে সমুদ্র। স্বাভাবিক অবস্থায় যেখানে প্রতি ১০ সেকেন্ডে একটি ঢেউ ভাঙত বুধবার বিকেলের পর সেই সময়টাতে ভাঙছে তিন থেকে চারটি ঢেউ। জানিয়ে দিচ্ছে কাউন্টডাউন শুরু। এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ডানা (cyclone Dana)। 

 

ইতিমধ্যেই দিঘা, শঙ্করপুর এবং মন্দারমনি ও তাজপুর থেকে ফিরে গিয়েছেন পর্যটকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন দিঘার হোটেল অ্যাসোসিয়েশন-এর সঙ্গে এক বৈঠকের পর জানিয়ে দেয় বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে পর্যটকদের হোটেল ছাড়তে হবে। সেই অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা-সহ সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র থেকেই সকাল থেকে হোটেল ও রিসর্ট খালি করতে থাকেন পর্যটকরা। জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, সবমিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার পর্যটক এদিন ফিরে গিয়েছেন। 

 

ওই সূত্র অনুযায়ী, অধিকাংশ পর্যটক নিজের গাড়িতে ফিরেছেন। রাজ্য সরকারের তরফে কয়েকটি বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সেই বাস এবং বেসরকারি বাসে করে অন্যান্য পর্যটকরা ফিরে গিয়েছেন।  ফলে সকাল থেকে একদিকে যেমন ছিল বাসস্ট্যান্ডে ভিড় তেমনি পেট্রল ও ডিজেলের পাম্পগুলিতেও গাড়ির লম্বা লাইন লক্ষ্য করা গিয়েছে। 

 

এদিন নিষেধ করা সত্ত্বেও বেপরোয়াভাবে সমুদ্রের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করার জন্য ছয় পর্যটককে পুলিশ আটক করে। ক্ষমা চেয়ে তাঁরা শেষপর্যন্ত রেহাই পান। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ সদস্যদের। হাওয়ার দাপটে গাছের ডাল ভেঙে যাতে কেউ আহত না হন সেজন্য প্রশাসনের তরফে ছাঁটা হয়েছে ডাল। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।