আজকাল ওয়েবডেস্ক: কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুট কোস্টাল থানার পুলিশ রবিবার সন্ধ্যায় কাদুয়া এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে। খোঁজ নিয়ে তার নাম ও পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। যোগাযোগ করা হয় পরিবারের সঙ্গে। এরপরই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মৃতার পরিবারের।
পুলিশ জানতে পারে ১৬ বছর বয়সি ওই কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার পর মর্মান্তিকভাবে খুন করা হয়েছে। অভিযোগ আনা হয়েছে কিশোরীর পরিচিত এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। যুবকের নাম দেব কুমার দাস। কাঁথির জুনপুট কোস্টাল থানা এলাকার ঝাওয়া জগন্নাথপুরে বাড়ি। কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর গণধর্ষণ কিনা সেটা জানা যাবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা দশম শ্রেণির ছাত্রী। কাঁথি থানা এলাকার দূরমুঠে বাড়ি। গত শনিবার থেকে টিউশন পড়তে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচিতি ছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। ওই যুবকের বাড়ি ঝাওয়া-জগন্নাথপুর। মৃতা ও অভিযুক্তর বাড়ি পাশাপাশি গ্রামে। ওই যুবক তাকে অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে এই কিশোরী প্রেমে প্রত্যাখ্যান করেছিল। অভিযোগ, যে কারণে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটানো হয়। ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের।
কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে তার সঙ্গে এই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিন ধরে। কর্মসূত্র সে গুজরাটে কাজে থাকার জন্য ইদানিং কিশোরী অন্য একটি যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। যে কারণে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছিল। এরপর যুবক তার কথা মেনে নিয়ে তাকে বোঝানোর জন্য চেষ্টা করে। শেষপর্যন্ত সেদিন সন্ধ্যায় ওড়নার সাহায্যে গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরীকে খুন করে সে। যাতে পালাতে না পারে তার জন্য হাত পা বেঁধে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল। পরিবারের পক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে ধর্ষণ কিনা তবে এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ যুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবার চাইছে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে কলকাতায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। গত রবিবার সন্ধ্যায় গার্ডেনরিচ থানা এলাকায় এক নয় বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বাবার অফিসে নাবালিকার একা থাকার সুযোগে তার উপর পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নক্কারজনক এই ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক। তাঁকে ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় পকসো ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার বাবা।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৭(২)/৭৫(২)/৩৫১(২) ধারা এবং পকসো আইনের ৮ নং ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বাবার সঙ্গে তাঁর কাজের জায়গায় গিয়েছিল ছোট্ট ফুটফুটে মেয়েটি। সেখানেই শৌচাগারে যায় সে। বেরিয়ে আসার পথে ফাঁকা জায়গা ও একা থাকার সুযোগে মেয়েটির উপর পাশবিক বাবার এক সহকর্মী অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী যৌন হেনস্থার কথা সকলকে জানালে পরিনাম ভাল হবে না বলেও হুমকি দেন।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ইমতিয়াজ আলম, সে নির্যাতিতার বাবার অফিসের ম্যানেজার। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ইমতিয়াজ আলম। নাবালিকাকে চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তবে, নয় বছরের মেয়েটি সুস্থ রয়েছে বলেই পুলিশ জানিয়েছে। এছাড়াও তারা জানায়, অপরাধীকে খুঁজে বের করে বিচারের মাধ্যেম দ্রুত শাস্তি দেওয়া হবে।
