আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রে ইচ্ছেমতো কোনরকম সংশোধন আনা যাবে না। সংশোধন আনতে গেলে দিতে হবে তার জন্য উপযুক্ত নথি ও প্রমাণ। এমনটাই নির্দেশ নামা জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। মূলত, ১৯৬৯ সালের রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ এন্ড ডেথ অ্যাক্ট (RBD Act) এর পনের নম্বর অনুচ্ছেদ ২০২৩ এর সংশোধিত আইন অনুযায়ী রাজ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরের ডিরেক্টরেট হেলথ সার্ভিস এর পক্ষ থেকে এই নোটিশ জারি করে স্পষ্টই জানিয়ে দেওয়া হলো, মূলত জন্মসংসাপত্রে ইচ্ছেমতো নাম সংশোধন করতে গেলে একাধিক সরকারি নিয়মাবলী ও প্রয়োজনীয় নথি দিয়ে তবেই ত্রুটি সংশোধন করা যাবে।

আরও পড়ুন:‘দেশবিরোধী, অসাংবিধানিক, অপমানজনক’, বিতর্কিত চিঠিতে দিল্লি পুলিশকে তীব্র আক্রমণ মমতার

বিভিন্ন জেলা থেকে মূলত এ ধরনের নাম সংশোধনের বেনিয়মের অভিযোগ আসার পর এই নির্দেশ জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে জেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগ ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা আরবান ডেভেলপমেন্ট সহ কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন ও সরকারি হাসপাতাল সমস্ত জায়গাগুলিতে। যে নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যখন জন্মের শংসাপত্র তৈরি হবে সেটাই চূড়ান্ত বলে নির্ধারিত হবে। সেখানে যে কেউ চাইলে যখন তখন নাম পরিবর্তন করতে পারবে না। এমনকি বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে সেক্ষেত্রেও নাম পরিবর্তনে নির্দিষ্ট নিয়মাবলী মেনে করতে হবে অর্থাৎ সরকারি নির্দেশিকা মেনে তা করতে হবে উভয় সম্মতিক্রমে। এমনকি নাম তোলার সময় যদি কোন ভুল থাকে কিংবা রেজিস্টারে যদি কোন ভুল থাকে অথবা কোন ক্ষেত্রে নাম যদি ঠিকমতো না উঠে থাকে তাহলেও সরকারি নিয়মাবলী মেনে এবং তার প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে তবেই তার সংশোধন করতে পারা যাবে। সরকারি নিয়মাবলী না মেনে কোনরকম কোন পরিবর্তন করা যাবে না। এমনকি বয়সের ও যদি কোথাও ভুল থাকে বা সংশোধন করতে হয় তাহলেও যে কেউ চাইলেই তা পরিবর্তন করতে পারবে না, তার জন্য মানতে হবে সরকারি একাধিক নির্দেশিকা, এবং তবেই তা সংশোধন করা সম্ভব। 

উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই নির্দেশিকা জারি করার কিছুদিন আগেই কেন্দ্র সরকার থেকে অভিযোগ এসেছিল যে রাজ্যের জন্মসংসাপত্রে বেশ কিছু অনিয়ম দেখা গিয়েছে এবং অভিযোগ আসছে বিভিন্ন রাজ্য থেকে, যা খুবই উদ্বেগ জনক। এমনটাই অভিযোগ আসে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, এই কেন্দ্র সরকারের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে এবং বেনিয়ম কে আটকানোর জন্য এবং একই সাথে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে জন্মসংসাপত্র নিয়ে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগের কারণে এবং সেই বেনিয়মকে আটকানোর জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার।