আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত সুতি থানার কাশিমনগর এলাকায়। মৃত ব্যবসায়ীর নাম ইয়াদ আলি (৫৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ সুতি থানার কাশিমনগর এলাকায় নিজের হার্ডওয়ারের দোকানেই ছিলেন ইয়াদ। তখন কাবিরুল শেখ নামে এক ক্রেতা তার দোকানে সিমেন্ট কিনতে আসে। ঠিক তখনই অজ্ঞাতপরিচয় কিছু দুষ্কৃতি ইয়াদের দোকানে ঢুকে কাবিরুলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গুলি গিয়ে লাগে দোকানদার ইয়াদ আলির বুকে। তৎক্ষণাৎ তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা ইয়াদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি পারিবারিক আক্রোশে কাবিরুল শেখকে খুন করতে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সেটি ইয়াদ আলির বুকে লেগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে দুষ্কৃতীদের। তখন তারা বাইক ফেলে ক্ষেতের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।’ পুলিশ সূত্রে খবর, কাশেম শেখ নাম এক দুষ্কৃতীর ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর।
পুলিশ সূত্রে খবর কাশেমের সঙ্গে কাবিরুলের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। দিন পনেরো আগে তাদের মধ্যে সিগারেট খাওয়া নিয়ে বিবাদ হয়। এর পর আরও দু’বার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মঙ্গলবার বাসুদেবপুর এলাকায় একটি সংঘর্ষের পর পুলিশ দু’পক্ষের লোকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে পরে পরিবারের লোকেদের অনুরোধে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
মৃত ব্যবসায়ীর ছেলে হায়দার আলি জানিয়েছেন, ‘কাশিমনগর এলাকায় বড় মাপের জুয়ার কারবার চলে। কিছুদিন আগেই এই কাবিরুল শেখের সঙ্গে জুয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিছু লোকের ঝামেলা হয়। সম্ভবত সেই আক্রোশেই তারা কাবিরুল শেখকে খুন করার উদ্দেশে এসেছিল। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সেই গুলি লাগে বাবার বুকে।’ ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত কাশেম শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
