আজকাল ওয়েবডেস্ক : জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সংলগ্ন একটি বেসরকারি পলিক্লিনিকের মালিকের বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল।   রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তির নাম তারাপদ পাত্র।  জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কাছে তাঁর একটি পলিক্লিনিক রয়েছে।

 
স্থানীয় সূত্রে খবর, সুতি থানার সরলা গ্রামের বাসিন্দা জনৈকা সোনালী মন্ডল নামে এক অন্তঃসত্ত্বা  মহিলা সম্প্রতি ওই ক্লিনিক থেকে কিছু প্যাথলজি টেস্ট করান। অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলার মা মীনা মন্ডলের দাবি, তাঁদের আর্থিক অবস্থার কথা বলার পর ওই পলিক্লিনিক কর্তৃপক্ষ টেস্টের খরচ ২৪০০ টাকার পরিবর্তে ১৫০০ টাকা নিতে রাজি হয়।

 
 অভিযোগ, শনিবার সকালে ওই পলিক্লিনিকে গিয়ে রিপোর্ট চাইলে সেখানকার কর্মীরা ২৪০০  টাকায় দাবি করেন। কিন্তু অত টাকা তাঁদের কাছে নেই এটা বলার পরেই ওই পলিক্লিনিকের  মালিক তারাপদ পাত্র মা-মেয়ে দু'জনকেই মারধর করেন বলে অভিযোগ।

 
মীনা মন্ডল বলেন ,"অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের রক্ত এবং অন্য কিছু পরীক্ষা করার আগেই আমরা পলিক্লিনিককে বলেছিলাম আমরা ১৫০০ টাকার বেশি দিতে পারব না। সেই শর্তে রাজি হয়ে পলিক্লিনিক সমস্ত পরীক্ষা করিয়েছিল।  রিপোর্ট চাইতে গেলে তাঁরা অতিরিক্ত টাকা দাবি করতে থাকে। আমরা এর প্রতিবাদ করায় পলিক্লিনিকের একজন মালিক আমাকে এবং আমার মেয়েকে জুতো দিয়ে মারধর করার পাশাপাশি ঘুসি এবং লাথি মেরেছে। আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি মারায় সে অসুস্থ বোধ করছে। "

 
ঘটনার খবর পাওয়ার পরই রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ এলাকাতে পৌঁছে ওই পলিক্লিনিকের অন্যতম মালিক তারাপদ পাত্রকে আটক করে থানাতে নিয়ে যায়। পরে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।