আজকাল ওয়েবডেস্ক: আবারো ভারতের জলসীমানা লংঘন করার অভিযোগে বাংলাদেশী একটি ট্রলার সহ ১৫ জন মৎস্যজীবীকে আটক করে ভারতের নৌ বাহিনী। SIR আবহাওয়ায় লাগাতার ভারতের জলসীমানা লঙ্ঘন করছে বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ট্রলার। ভারতের জল সীমানা লংঘন করে ভারতের মধ্যে প্রবেশ করার চেষ্টা বাংলাদেশের ট্রলারের। সীমান্ত তীরবর্তী এলাকায় ভারতীয় সেনার যেমন নজরদারি বাড়ানো হয়েছে তেমনি জল সীমানায় অনুপ্রবেশ রুখতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের টহল দেওয়ার সময় ভারতীয় নৌবাহিনীর চোখে পড়ে একটি সন্দেহভাজন ট্রলার। এরপর ওই সন্দেহভাজন ট্রলারটিকে ধাওয়া করে ভারতীয় নৌবাহিনীর স্পিড বোট। অবশেষে ওই সন্দেহভাজন ট্রলারটিকে আটক করে ভারতীয় নৌ বাহিনী। এরপর ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে এই ট্রলারটি বাংলাদেশের। তৎক্ষণাৎ ট্রলার সহ ১৫ জন মৎস্যজীবীকে আটক করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী।
এরপর ট্রলারটিকে নিয়ে আসা হয় ফ্রেজারগঞ্জ বন্দরে এরপর ট্রলারসহ মৎস্যজীবীদেরকে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ভারতের অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে ১৫ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আটক হওয়া বাংলাদেশী ট্রলারটির নাম এফবি আল্লা মালিক।
এ বিষয় সুন্দরবন মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র তিনি জানান, শীতের মরশুমে ভারতের জল সীমানায় একটি বিশেষ ধরনের মাছ পাওয়া যায়। সেই মাছের চাহিদা বাংলাদেশে রয়েছে আর সেই মাছের লোভেই বারবার বাংলাদেশি ট্রলার ভারতের জলসীমানা লংঘন করে অনুপ্রবেশ করে। অতীতেও বেশ কয়েকবার ভারতীয় জল সীমানা লংঘন করে বাংলাদেশী ট্রলার অনুপ্রবেশ করেছে ভারতের মধ্যে। ভারতীয় নৌবাহিনী এখন তৎপর হয়েছে বিশেষভাবে নজর রেখেছে জল সীমানায়। তার কারণে একের পর এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ট্রলার মৎস্যজীবী সহ আটক হচ্ছে।
