আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঝাপটা মেরে নড়িয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ডানা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও একেবারে কম নয়। ঝুঁকি এড়াতে বন্ধ রাখা হয়েছিল সৈকত নগরী দিঘা-সহ তাজপুর, মন্দারমনি ও শঙ্করপুরের প্রবেশদ্বার। আপাতত ডানা অতীত। তার প্রভাবে শুক্রবার দিনভর বৃষ্টি হলেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে প্রকৃতি। তাই পর্যটনের কথা মাথায় রেখে শনিবার থেকেই আবার এই এলাকাগুলিতে শুরু হচ্ছে পর্যটন। পর্যটকদের জন্য ফের খুলছে হোটেল ও রিসর্টের দরজা। জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।
শুক্রবার আজকাল.ইন-এর প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, 'শনিবার থেকেই পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে আসতে পারবেন পর্যটকরা। ঝড়ে এই জায়গাগুলিতে বড় কোনও ক্ষতি হয়নি।' নিজে জেলাশাসক শুক্রবার ভোর থেকেই বেড়িয়ে পড়েছেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে। সরেজমিনে পরিদর্শন করা ছাড়াও কথা বলেছেন স্থানীয়দের সঙ্গে। নবান্নে পাঠানোর জন্য তৈরি করছেন রিপোর্ট।
ঘূর্ণিঝড় ডানা'র (cyclone Dana) ল্যান্ডফল-এর আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের এই পর্যটনকেন্দ্রগুলি থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এক বৈঠকের পর জেলা প্রশাসন জানিয়ে দেয় বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে হোটেল খালি করতে হবে পর্যটকদের। সেইমতো বুধবার সকাল থেকেই পর্যটকরা ফিরতে শুরু করেন। তাঁদের সুবিধার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে কয়েকটি সরকারি বাসেরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তবুও ঝড় দেখতে বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই দিঘা ও অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রে পৌঁছে যান অত্যুৎসাহী কিছু পর্যটক। পত্রপাঠ তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, ঝড়ে তাঁর জেলায় ২৫০-র কাছাকাছি গাছ ভেঙে পড়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই সেই গাছগুলি কেটে রাস্তা পরিস্কারের কাজ চলছে। সেইসঙ্গে চলছে শহর পরিস্কারের কাজ। জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, শনিবার যখন পর্যটকরা সৈকত নগরী পৌঁছবেন তখন আশা করা যায় তাঁদের সামনে ঝড়ের স্মৃতি ভুলিয়ে আগের মতোই সেই ঝকঝকে তকতকে দিঘাকে হাজির করানো যাবে।
মন্দারমনি রিসর্ট ও হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সন্দীপন বিশ্বাস জানান, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। এই উইকেন্ডে অনেক বুকিং বাতিল করতে হয়েছে। ফলে আগামী সপ্তাহে অর্থাৎ কালীপুজো ও দিওয়ালিতে প্রচুর চাপ আসছে। আগামী সপ্তাহে কোনও রিসর্ট ও হোটেলে আর জায়গা নেই। সব বুকড। শনিবার থেকেই আমরা পর্যটকদের স্বাগত জানাব।’
