আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধর্মতলায় শহীদ দিবসের সভা থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক প্রবীণ তৃণমূল সমর্থকের। মৃত ওই তৃণমূল সমর্থকের নাম মধুসূদন পাল। বছর বাহাত্তরের প্রবীণ সমর্থকের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দিহিবেতা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় শহীদ দিবসের কর্মসূচি শেষ করে কলকাতা থেকে বাসে করে ফিরছিলেন মধুসূদনবাবু। সেই সময় বাসটি ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের নবাবহাট এলাকায় একটি রাস্তার ধারে দাঁড়ায়। এরপর বাস থেকে নেমে মধুসূদন বাবু রাস্তার অপর প্রান্তে একটি মিষ্টির দোকানে যান। সেখান থেকে মিষ্টি কিনে ফেরার সময়, রাস্তা পার হতে গিয়ে কলকাতা থেকে দুর্গাপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তাঁকে ধাক্কা মারে। ধাক্কায় ছিটকে পড়ে যান তিনি। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মধুসূদন বাবুর।
এই দুর্ঘটনার জেরে কিছু সময়ের জন্য জাতীয় সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ধমান থানার পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশ মধুসূদনবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। আস্তে আস্তে পরিস্থিতি সামলায়। পুনরায় যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ।
এই মর্মান্তিক দু্র্ঘটনায় মধুসূদন বাবুর মৃত্যুর খবর মুহুর্তের মধ্যে কাঁকসার দিহিবেতা গ্রামে পৌঁছয়। সেখানে খবর পৌঁছতেই এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। গোটা গ্রামজুড়ে শোকের পরিবেশ তৈরি হয়। দীর্ঘদিনের এক প্রিয় ও সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মীর এমন পরিণতিতে এলাকাবাসী মর্মাহত।
আরও পড়ুনঃ 'ভালোবাসতাম বলে মারতাম', বিদেশের মাটিতে কেরালার যুবতী খুন, স্বামীর চাঞ্চল্যকর স্বীকারক্তি
বর্তমানে পুলিশ রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করছে। যেই দূর্গাপুরগামী বাস এসে ধাক্কা মারে মধুসূদন বাবুকে তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে চলছে আরও জিজ্ঞাসাবাদ। পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।
প্রসঙ্নগত, সোমবার ১২টা ৫৩ মিনিটে মঞ্চে ওঠেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। মঞ্চে উঠেই বিতানের মা-বাবাকে আলঙ্গন করেন এবং ঝন্টুর বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তৃণমূলনেত্রী। এরপর তিনি দুই পরিবারকে সম্মানিত করেন এবং তাঁদের হাতে তৃণমূলকর্মীদের এক টাকা করে অনুদানে জমা টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা করে তুলে দেন মমতা।
২১ জুলাইয়ের সভা শেষের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়, আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। সভা শেষের সঙ্গে সঙ্গেই তাদের অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হল এসএসকেএম হাসপাতালে। সেই সময়ই হঠাৎ খবর পাওয়া যায় যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকেও। আজকাল ডট ইনের তরফে বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, মদন মিত্র সুস্থ আছেন। একের পর এক অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকে এসএসকেএমে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় তৃণমূল সাংসদদের।
সাংসদ কীর্তি আজাদ আজকাল ডট ইনকে বলেন, আমার কয়েকদিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিকের একটা কোর্স চলছে। ফলে, সোমবার আমার শরীরে একটু জলের অভাব বা ডিহাইড্রেশন হয়। বেলা ৩টে নাগাদ শরীর খারাপ লাগায় আমায় অ্যাম্বুল্যান্সে করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাকে ওআরএস দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ বাদেই আমাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়’। রোদ থেকে শরীর খারাপ হল কিনা জানতে চাওয়া হলে কীর্তি জানান, ‘আমি সারাজীবন ক্রিকেট খেলে এসেছি। রোদটা আমার কাছে কোনও সমস্যা নয়’।
