আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় ১২ ঘণ্টার বেশি নিখোঁজ থাকার পর ১১ বছরের এক নাবালকের নিথর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বুধবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার দেওয়ানসরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথপুর এলাকায়।  

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সুরজিৎকে খুন করা হয়েছে। খুনের আগে কোনও অজ্ঞাত কারণে তার উপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে বলেও মৃতের পরিবারের দাবি। মৃত ওই নাবালকের মুখে এবং পিঠে একাধিক জায়গায় বিড়ি বা সিগারেট দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন। 

লালগোলা থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে। মৃত নাবালকের মা বলেন, 'গতকালকে বিকেলে আমার দুই ছেলে বাড়ির কাছে একসঙ্গে খেলা করছিল।  বিকেল পাঁচটা নাগাদ আমার বড় ছেলের প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছেলে বাড়িতে না ফেরায় আমি তাকে খুঁজতে শুরু করি।' 
 
তিনি বলেন, 'পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে ছেলের খোঁজ করলেও কেউ আমার ছেলের সন্ধান দিতে পারেনি। এরপর পরিবারের লোকেরা বাড়ির কাছেই একটি পুকুরে নেমে তল্লাশি শুরু করেন। কিন্তু সেখানেও আমার ছেলের দেহ পাওয়া যায়নি। আজ সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি জঙ্গলের পাশে পুকুরের ধার থেকে আমার ছেলের দেহ উদ্ধার হয়েছে।' 
 
তাঁর অভিযোগ, 'আমার ছেলেকে কেউ বা কারা খুন করে দেহটি ওই জঙ্গলের মধ্যে ফেলে গিয়েছে। গতকালও ওই এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছিল। কিন্তু তখন সেখানে দেহটি ছিল না। আমার অনুমান আজ ভোরের দিকে দেহটি ওখানে রাখা হয়েছে। রাতে দেহটি ওখানে থাকলে শিয়াল কুকুরে দেহটি খেয়ে নিতে পারত। ছেলের দেহে বিড়ি এবং সিগারেটের ক্ষতচিহ্ন ছাড়া অন্য কোনও চিহ্ন নেই। আমার ছেলে জলে ডুবে  মারা যায়নি। জলে ডুবে মারা গেলে তার জামা কাপড় ভেজা থাকত।' 
 
মৃত নাবালকের বাবা বলেন, 'গতকাল খুব ঠান্ডার মধ্যে পুকুরে নেমে বেশ কয়েক ঘণ্টা আমি ছেলের খোঁজে তল্লাশি করেছি। কিন্তু পুকুরে দেহ ছিল না। আজ সকালে ওই পুকুরের ঠিক পাশেই জঙ্গলে আমার ছেলের দেহ কীভাবে এল তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার অনুমান আমার ছেলের উপর অত্যাচার চালিয়ে কেউ বা কারা তাকে খুন করেছে।'