আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাদাম ভেবে বিষ ফল খেয়ে নেওয়ায় চরম বিপত্তি! অসুস্থ কমপক্ষে ১১ শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে। অসুস্থ শিশুরা সকলেই ভর্তি রয়েছে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে চিকিৎসা চলছে তাদের। জানা গিয়েছে, অসুস্থ শিশুরা সকলেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের বলদেবপুর এলাকার বাসিন্দা। 

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে সকলে একসঙ্গে খেলাধুলো করছিল। সেই সময় রাস্তার পাশের গাছে বাদাম জাতীয় ফল দেখতে পায় তারা। স্বাভাবিকভাবেই খুদেরা বুঝতে পারেনি ওই ফলেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। বাদাম ভেবে বিষ ফল খেয়ে নেয় শিশুরা। কিছুক্ষণ পর থেকেই একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে সকলে। 

বমি, পেটব্যথা, শ্বাসকষ্ট-সহ নানারকম সমস্যা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা তাদের নিয়ে যায় মথুরাপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে শিশুদের রেফার করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে। বর্তমানে অসুস্থরা সকলেই ভর্তি সেখানে। চিকিৎসা চলছে। 

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিষ ফল খেয়ে নেওয়ার কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে সকলে। শিশুরা আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উৎকণ্ঠায় পরিবার। তবে সকলেই বিপন্মুক্ত বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। 

গত বছর জুলাই মাসে স্কুলের খাবার খেয়ে এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। আবাসিক স্কুলের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল অন্ততপক্ষে একশো পড়ুয়া। তাদের মধ্যে ২০ জন ভর্তি ছিল হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের নয়াবসতে পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু বিদ্যাপীঠে ঘটনাটি ঘটেছিল। আবাসিক স্কুলে মোট চারশো পড়ুয়া পড়াশোনা করে। সোমবার রাতে খাবার খাওয়ার পরেই শতাধিক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘনঘন বমি, পেট ব্যথার মতো উপসর্গ ছিল সকলের। মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ পড়ুয়াদের প্রথমে দ্বারিগেড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজনের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাদের মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। 

হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল, চিকিৎসাধীন পড়ুয়াদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছিলেন, রাতে ডাল, ভাত, সবজি খেয়েছিল পড়ুয়ারা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্কুলের খাবারে বিষক্রিয়ার জেরেই পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।