আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছিলেন ক্রিকেটার। ছিলেন অধিনায়ক। ছিলেন সাংসদ। এবার মন্ত্রীও হয়ে গেলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন।
 
 শুক্রবার তেলেঙ্গানার ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তবে তিনি কোন দপ্তরের মন্ত্রী হবেন, তা এখনও জানা যায়নি।
 
 শুক্রবার তেলেঙ্গানার রাজভবনে রাজ্যপাল জিষ্ণু দেব বর্মার কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন আজহার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি–সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই। শপথ নেওয়ার পরে আবেগঘন আজহার বলেন, ‘জাতীয় দলের জার্সিতে আমার অভিষেক হয়েছিল ৩১ ডিসেম্বর। আজও ৩১ তারিখ। মনে হচ্ছে জীবনের একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হল।’ প্রসঙ্গত, ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোনও অধিনায়ক আজ পর্যন্ত কোনও রাজ্যের মন্ত্রী হননি।
 
 গত আগস্ট মাসে কংগ্রেসশাসিত তেলেঙ্গানার বিধান পরিষদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আজহারকে। বিধান পরিষদে মনোনয়ন পাওয়ার পরেই শোনা গিয়েছিল, তেলেঙ্গানার ক্যাবিনেটেও জায়গা পেতে পারেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। এবার সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ল শুক্রবার। তেলেঙ্গানার মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন। এর আগে অবশ্য আজহার লোকসভার সাংসদ হয়েছেন কংগ্রেসের টিকিটে।
 
 রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আজহারকে মন্ত্রী করে দেওয়াটা কংগ্রেসের একটা মাস্টারস্ট্রোক। প্রথমত, তেলেঙ্গানার ক্যাবিনেটে কংগ্রেসের একজন মুসলিম মুখের প্রয়োজন ছিল। আজহার একদিকে যেমন মুসলিমদের প্রতিনিধি, তেমনই গ্রেটার হায়দরাবাদেরও। বর্তমানে ক্যাবিনেটে গ্রেটার হায়দরাবাদের কোনও প্রতিনিধি নেই। সেই অভাব পূরণ করবেন আজহার। আপাতত ক্যাবিনেটে মন্ত্রী সংখ্যা হল ১৬।
 
 অন্যদিকে, সামনেই জুবিলি হিলস কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছিলেন আজহার। কিন্তু তাঁর মুখকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনে ভোট টানতে পারে কংগ্রেস। যেহেতু ওই কেন্দ্রে ২২ শতাংশ ভোটারই মুসলিম, তাঁদের সমর্থন পেতে আজহারের মুখ প্রয়োজন কংগ্রেসের। এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে আবার বিজেপির তোপ, তোষণের রাজনীতি করছে কংগ্রেস। আর তাই ভোটের আগে আজহারকে মন্ত্রী করা হয়েছে। 
