বেশিরভাগ স্কুলেই গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। সন্তানদের নিয়ে বাবা-মায়েরা ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা সাড়া। আর বাঙালির ভ্রমণ তালিকাতে তো বরাবরই সবার আগে আসে দী-পু-দা-র নাম, অর্থাৎ দীঘা, পুরী, দার্জিলিং। তা এবার পুরী গেলে, জগন্নাথ মন্দিরের পাশাপাশি, এই পাঁচ জায়গা ঘুরে দেখতে ভুলবেন না যেন।
2
8
পুরী মানেই জগন্নাথ দেবের দর্শন আর মন ভরে সমুদ্রে স্নান। তবে এই দু'টোই আপনি সেরে ফেলতে পারবেন এক দিনে। প্রথম দিনে এক্কেবারে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে, চলে যান মন্দিরে। সকাল ৬টার মধ্যে পৌঁছলে, ভিড় একটু কম থাকে। এরপর মন্দির ঘুরে এসে সময় কাটান সমুদ্রের ধারে। গোটা দিনটা সমুদ্রের নোনা জলে চলুক জলকেলি। এরপর দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে একটু বিশ্রাম। বিকেলে ফের সমুদ্রের হাওয়া খাওয়া আর জমিয়ে শপিং।
3
8
পরের দিন টোটো বা অটো বুক করে, পুরীর চারপাশে থাকা ছোটবড় মন্দির দেখে নিতে পারেন। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই, পুরীরই আশেপাশেই বেশ কিছু ঘোরার জায়গা রয়েছে। আছে স্বল্প পরিচিত কিছু নির্জন সমুদ্র সৈকতও। আর এগুলো ঘুরলেই দেখবেন, একদম অন্যরকমের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছেন ঘরে।
4
8
ভুবনেশ্বর থেকে ৮ কিমি দক্ষিণে, দয়া নদীর তীরে অবস্থিত ধৌলি বা ধৌলিগিরি পাহাড়। একে অনেকে ধবলগিরিও বলে। ধৌলি পাহাড়কে কলিঙ্গ যুদ্ধের স্থান বলে মনে করা হয়। রাজা অশোক এবং কলিঙ্গ রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধে নাকি পুরো দয়া নদী লাল হয়ে গিয়েছিল রক্তে। এই কলিঙ্গ যুদ্ধই রাজা অশোককে বৌদ্ধধর্ম পালন করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। এরপর বুদ্ধের কাছ থেকে অহিংসার শিক্ষা গ্রহণ করেন অশোক। সেই স্মৃতিতেই ধৌলি পাহাড়ের উপর নির্মিত হয় শান্তি প্যাগোডা। যা ১৯৭০ সালে জাপানি বুদ্ধ সংঘ এবং নিপ্পন বুদ্ধ সংঘ দ্বারা নির্মাণ করা হয়।
5
8
পুরীর আরেক জনপ্রিয় জায়গা হল রঘুরাজপুর। বলা হয় ওড়িশার বিখ্যাত পটশিল্পীরা থাকেন এই রঘুরাজপুরে। পুরী থেকে ১২ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে পটশিল্পীদের গ্রামটি। গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আঙিনা, দেওয়ালজুড়ে পটশিল্পীরা ফুটিয়ে তুলেছেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা, গণেশ, হাতি,পাখি, শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলার সমস্ত ছবি। নানারকম মুখোশ, বড় বড় পট, তুলির টানে রঙিন করছেন গ্রামের মেয়ে-পুরুষরা। রঘুরাজপুর গেলে, বাড়ি সাজানোর জিনিস কিনে আনতে ভুলবেন না যেন!
6
8
কোনার্ক সূর্য মন্দিরের কাছে অবস্থিত চন্দ্রভাগা সমুদ্র সৈকত। এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত, দুইয়েরই শোভা অপূর্ব। ওড়িশার সবচেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকতগুলোর মধ্যে একটি চন্দ্রভাগা। সঙ্গে বেশ নির্জন। এমনকী, এই সৈকতে গেলে হামেশাই দুর্দান্ত সব বালুকর্ম দেখার সুযোগ পাওয়া যায়।
7
8
প্রতি বছর ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ নন্দনকানন ভ্রমণ করেন। এখানে যেমন চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে, তেমন করা যেতে পারে সাফারিও। পুরী থেকে একদিনেই ঘুরে নেওয়া সম্ভব নন্দনকানন।
8
8
চিল্কা হ্রদের অন্যতম আকর্ষণই হল ডলফিন। তবে শীতকালে গেলে পরিযায়ী পাখিরও দেখা মেলে। বরকুল ও রম্ভা দু’টি জায়গা থেকেই উপভোগ করা যায় পাহাড় ঘেরা সুবিশাল চিল্কার সৌন্দর্য। নৌকা ভাড়া করে দেখে নেওয়া যায় কালীযাই মন্দির, ব্রেকফাস্ট আইল্যান্ড, বার্ডস আইল্যান্ড।