আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তপ্ত পরিস্থিতি দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয়ে। পুলিশের সঙ্গে পড়ুয়াদের সংঘর্ষ। ঘটনায় আট পুলিশ আহত। আটক করা হয়েছে ২৮ পড়ুয়াকে, তথ্য তেমনটাই। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি পুলিশের বিরুদ্ধে বর্বরোচিত আচরণের অভিযোগ তুলেছে। অন্যদিকে পুলিশের অভিযোগ, পড়ুয়ারা, বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে হামলা চালায় পুলিশের উপর।
অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (AISA)-এর অভিযোগ, JNUSU সভাপতি নীতীশ কুমার এবং বেশ কয়েকজন ছাত্রকে JNU ওয়েস্ট গেট- মারধর করেছে পুলিশ এবং তাঁদের আটক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশকিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও আজকাল ডট ইন ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করেনি। তবে ভিডিওগুলিতে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকজনকে ধরে, জোর করে তোলা হচ্ছে পুলিশের ভ্যানে।

উত্তাল পরিস্থিতি কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে?
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত একটি প্রতিবাদ মিছিল থেকে। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ছাত্র ইউনিয়ন (জেএনইউএসইউ) এবং বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি শনিবার ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল ডেকেছিল। দাবি ছিল, সাধারণ সভার সময় আরএসএস-অনুমোদিত অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর আক্রমণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের। জেএনইউ'র পশ্চিম গেটে পরিস্থিতি আচমকা উত্তাল হয়। পুলিশ এবং বিক্ষোভকারী, দু' পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ, হামলার অভিযোগ তুলেছে।
পুলিশের দাবি, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের মামলা-তদন্তের আশ্বাস দেওয়ার পরেও শিক্ষার্থীরা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং পুলিশ-কর্মীদের সঙ্গে বচসা-বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত আট পুলিশ কর্মী ছাত্রদের হামলায় জখম হয়েছেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) লিবারেশন (সিপিআইএমএল লিবারেশন) সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছে। তাতে লেখা হয়েছে-'জেএনইউ-এর পশ্চিম গেটে দিল্লি পুলিশের দ্বারা জেএনইউএসইউ সভাপতি এবং অন্যান্য ছাত্রদের উপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এবিভিপির সহিংসতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে শান্তিপূর্ণভাবে বসন্ত কুঞ্জ থানায় মিছিল করা ছাত্রদের বিচারের পরিবর্তে পুলিশি দমন-পীড়নের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
অবিলম্বে আটক সকল ছাত্রকে মুক্তি দিন!'
Strongly condemn the brutal assault on the JNUSU President and other students by Delhi Police at JNU’s West Gate. Students peacefully marching to Vasant Kunj Police Station to lodge an FIR against ABVP’s violence were met with police repression instead of justice.
— CPIML Liberation (@cpimlliberation)
Immediately… pic.twitter.com/8wUlZ41ZNbTweet by @cpimlliberation
পুলিশ কী জানাচ্ছে?
পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সন্ধে ৬টার দিকে, প্রায় ৭০-৮০ জন শিক্ষার্থী জেএনইউর পশ্চিম গেটে জড়ো হয়েছিলেন, যেখানে নেলসন ম্যান্ডেলা মার্গের দিকে যাওয়ার পথে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও, শিক্ষার্থীরা জোর করে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন, পুলিশ কর্মীদের মারধর করেন, অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন। ঘটনায় সাময়িকভাবে যান চলাচল বিঘ্নিত হয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দীপাবলিতে আর বাড়ি ফেরা হল না! হঠাৎ বিমান সংস্থার ঘোষণায় মাথায় হাত যাত্রীদের, আটকে গেলেন ভিন দেশে...
जब से JNU में स्टूडेंट यूनियन इलेक्शन की घोषणा हुई है, ABVP लगातार इसको बाधित करने का प्रयास कर रही है। यह बेहद शर्मनाक है कि Jnusu के वर्तमान अध्यक्ष सहित कई लोगों के साथ मारपीट की गई। ऐसे में पुलिस-प्रशासन दोषियों पर कार्रवाई करने की बजाय उन्हें बचाने में लगी है।
— Kanhaiya Kumar (@kanhaiyakumar)
पिछले दस… pic.twitter.com/3TFE9wwUsxTweet by @kanhaiyakumar
কানহাইয়ার পোস্ট
জেএনইউএসইউ-এর প্রাক্তন ছাত্র এবং কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছেন, ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে এবিভিপি ক্রমাগত নানাভাবে নানা সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে হাত শিবিরের নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, '...অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে, পুলিশ-প্রশাসন তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে।'
