যে কোনও বয়সে বন্ধুত্বের প্রয়োজন। বন্ধুত্ব মানেই এক নিরাপদ আশ্রয়। বন্ধুত্ব হয় কাচের মতো স্বচ্ছ, গোপনীয়তা আসতে পারে না সম্পর্কে। ভালবাসা, ভরসা, বিশ্বাসে ভরা বন্ধুত্বের সংজ্ঞা হয়েতো কারওর জানা নেই। সঠিক বন্ধু যেমন জীবনে উন্নতির পথে সঙ্গী হন, তেমনই বিষাক্ত বন্ধুত্ব জীবন দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। বন্ধুত্ব জীবনে আলো নিয়ে আসুক, এমনটা চাই আমরা সকলেই। সুস্থ বন্ধুত্বের ভিত্তি হল পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহানুভূতি এবং সঠিক যোগাযোগ।কিন্তু কখনও কখনও, প্রিয় সম্পর্কই যেন আলো নিভিয়ে দিতে পারে। এমনকী একসময়ের প্রিয় বন্ধুও পরবর্তীকালে জীবনে বিষ ছড়াতে পারে। তাই ছদ্মবেশী বন্ধুকে চেনা জরুরি। কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনার বন্ধুত্ব বিষাক্ত হয়ে গেছে, জেনে নিন- 

১. বন্ধুত্বে শর্তঃ যে বন্ধুত্বের ভিত্তি রয়েছে শর্তসাপেক্ষ সমর্থন ও ভালবাসার উপর, তা একটি বড় সতর্কবার্তা হতে পারে। আসলে বন্ধুত্ব তখনই শর্তসাপেক্ষ হয়, যখন আপনার বন্ধু শুধু তখনই আপনাকে গ্রহণ করে যখন আপনি তার কাছে কোনও হুমকি নয়। এটি সম্পর্কের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা এবং চাপ তৈরি করে। 

আরও পড়ুনঃ শুধু মস্তিষ্ক নয়, শরীরের অন্যান্য অংশও ধরে রাখে স্মৃতি! বিরাট চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল গবেষণায়

২. ‘না’ গ্রাহ্য হয় নাঃ বন্ধুত্বে সীমারেখা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার বন্ধু আপনার ‘না’ মানে না এবং আপনাকে তার ইচ্ছা অনুযায়ী চাপ দেয়, তবে এটি সতর্কতার সংকেত।

৩. প্রশংসা হলেও বিষের ছাপঃ কখনও কখনও বন্ধুর প্রশংসায় উপেক্ষা বা বিদ্বেষ লুকিয়ে থাকে। এমন মন্তব্য যা বাহ্যিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ মনে হয়, তা আসলে ঘৃণার ছাপ বহন করে। বন্ধুত্বে বিদ্রূপ বা ব্যঙ্গ করা কাম্য নয়। 

এছাড়াও যখন সুখ বা দুঃখের খবর শেয়ার করলে যদি বন্ধু তা উপেক্ষা করে বা বিদ্রূপপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেখায়, তবে এটি সম্পর্কের বিষাক্ততার ইঙ্গিত। এমনকি সুখবরও যদি তুচ্ছভাবে দেখা হয় বা ছোট ছোট উপেক্ষার শিকার হন, তা সতর্কতার লক্ষণ। এই ধরনের এই সংকেতগুলো যদি আপনার বন্ধুত্বে দেখা যায়, তবে সম্পর্কের বিবেচনা করা উচিত এবং সেই বন্ধুত্বে সীমা নির্ধারণ করা জরুরি।